নিজস্ব প্রতিবেদক
স্টেশন নির্মাণে চুক্তি
মেট্রোরেল : আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের কাজ শিগগিরই
মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং সাতটি স্টেশন নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, গুলশান হামলার ঘটনা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে দিয়েছিল। তবে সেই ক্ষতি পুষিয়ে
নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখন পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে। কাদের বলেন, ‘আমরা ছয় মাস পিছিয়ে ছিলাম হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির জন্য। তবে নির্মাণ কোম্পানিকে তা নিরুৎসাহিত করেনি। ছয় মাস আমরা কাভার করে ফেলেছি। ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে পুরো মেট্রোরেলের কাজ উত্তরা থার্ড ফেজ থেকে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত শেষ করে ফেলব।’
আটটি প্যাকেজে ভাগ করে মেট্রোরেল প্রকল্পের এমআরটি লাইন-৬-এর পুরো কাজ চলমান রয়েছে। প্যাকেজ-৫ ও ৬-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেনলাইন ও সাতটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত প্যাকেজ-৫-এর আওতায় ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তিনটি স্টেশন নির্মাণে টেকেন করপোরেশন, আবদুল মোমেন লিমিটেড ও অ্যাবেনিকো জেভি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। আর প্যাকেজ-৬-এর আওতায় কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট চারটি স্টেশন নির্মাণে ডিএমটিসিএলের সঙ্গে চুক্তি করে সুমিটোমো মিৎসুই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও আইটিডি। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানসহ মন্ত্রণালয় এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছে সরকার। মেট্রোরেলের প্রস্তাবিত ১৬টি স্টেশন হচ্ছে উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও হোটেল, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা।
প্রতি ৪ মিনিট পরপর ১৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী। প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের কম।
"