নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে সেনা নয় : সিইসি
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যরা সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও তা নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সম্প্রতি দেশে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় গুজব ও অপপ্রচার ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। এজন্য ইসি বিটিআরসির সঙ্গেও বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দুই সিটির ভোট সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। বৈঠক শেষে ইসির মুখপাত্র ও ইসি কার্যালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট নেওয়া হবে। এই ভোটে সেনা মোতায়েনের লিখিত দাবি নিয়ে সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রয়োজনে অধিকসংখ্যক র্যাব-পুলিশ-বিজিবি নামানো হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি-র্যাবের মহাপরিচালকসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা-গাজীপুরের প্রশাসন, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৈঠক সূত্র জানায়, ইসি মনে করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।
এ ছাড়াও গণমাধ্যম কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং তাদের কাজের পরিধি নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান একটি বাহিনীর প্রতিনিধি। জবাবে সিইসি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের যে পরিচয়পত্র ইসি থেকে সরবরাহ করা হয়, সেখানেই নীতিমালা রয়েছে। নতুন করে কিছুর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো বন্ধে বিটিআরসির সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার এবং ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলেও জানান ইসি সচিব।
ইসি সচিব আরো বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই সেনা মোতায়েন করা হবে নাÑ কমিশনের এ সিদ্ধান্ত রয়েছে। এই ভোটে বিজিবি-র্যাব-পুলিশসহ আধাসামরিক বাহিনী থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক।
গাজীপুরে পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে হবে। সেখানে এসপি অসহযোগিতা করছে কি না, দেখতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বা কেউ কোনো অসহযোগিতার রিপোর্ট করেননি। এ দুই সিটিতে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র নির্ধারণ হয়নি বলে জানান কমিশন সচিব।
"