নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ সম্পদ অর্জন
বাচ্চু এ কে আজাদ ও তাবিথকে ফের তলব দুদকের
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিমশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার দুই উপপরিচালক ও এক পরিচালক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের তলব করা হয়েছে। এ কে আজাদকে তলব করে চিঠি দিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, বেসিকের বাচ্চুকে চিঠি দিয়েছেন উপপরিচালক সামছুল আলম আর দুদকের উপপরিচালক আখতার হামিদ ভূঁইয়া তাবিথ আউয়ালকে হাজির হতে চিঠি পাঠিয়েছেন। আলাদা তিন চিঠিতে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে ৭ মে, এ কে আজাদকে ৯ মে এবং তাবিথ আউয়ালকে ৮ মে সকাল ১০টায় তলব করেছে দুদক।
শেখ আবদুল হাই বাচ্চু : বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অধিকাংশ প্রতিবেদনে আবদুল হাইয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। খোদ অর্থমন্ত্রী বেসিক ব্যাংকে ‘হরিলুটের’ পেছনে আবদুল হাই জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন। জাতীয় সংসদেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতেও এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কমিটির সদস্যরা। অথচ, ওই ঘটনায় দায়ের করা ৬১ মামলার কোনোটিতেই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। অনুসন্ধানকালে তাকে কখনো দুদকে ডাকাই হয়নি। আদালতে একটি আদেশের পর গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তাকে তলব করে দুদক। এ পর্যন্ত চারবার দুদক কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত বছরের ৬ ও ৮ ডিসেম্বর, এ বছরের ৮ জানুয়ারি ও ৮ মার্চ দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করে বাচ্চুকে।
এ কে আজাদ : এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে তাকে দুদকে হাজির হতে নোটিস পাঠানো হয়। গত ২০ মার্চ অনুমোদিত নকশা ছাড়া বাড়ি নির্মাণের অভিযোগে এ কে আজাদের গুলশানের বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এর পরদিনই তাকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক।
তাবিথ আউয়াল : দুদক সূত্র জানায়, চলতি বছরই তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে এ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। গত ২ এপ্রিল তাবিথ আউয়াল এবং বিএনপির জ্যেষ্ঠ সাত নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাবিথ আউয়াল ছাড়া যেসব জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, তারা হলেন স্থায়ী কমিটির চার সদস্যÑ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস; দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান; যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল। এ ছাড়া এম মোর্শেদ খানের ছেলে খান ফয়সাল মোর্শেদ খানের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান হচ্ছে।
"