প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন শুরু
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার প্রশংসা : পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
মোদির সঙ্গে বৈঠক
কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৩টি সদস্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশ নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রানির বাসভবন বাকিংহাম প্যালেসে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এর আগে সভাস্থলে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। এ সম্মেলনের প্রথম এক্সিকিউটিভ সেশনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার ‘পথপ্রদর্শক নেতৃত্বের’ ভূমিকার প্রশংসা করে কমনওয়েলথ নেতাদের তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
এদিনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুগুলোও ছিল। ট্রুডো বলেন, ‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়েছেন, দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। যা খুবই প্রশংসনীয়। এখন কমনওয়েলথ নেতাদের উচিত তাকে (শেখ হাসিনা) সহযোগিতা করা।’
দুই দিনের এ সম্মেলনে সদস্য দেশের নেতারা সমুদ্র সংরক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন। সকাল থেকেই বাকিংহাম প্যালেসে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা আসতে শুরু করেন। বলরুমে রানি প্রবেশ করেন রাজপরিবারের সদস্যদের নিয়ে। সম্মেলন ঘিরে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরের দিকটা সেজেছে রাজকীয় সাজে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিসহ বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিয়েছেন।
সম্মেলনের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন প্রিন্স চার্লস। এরপর সম্মেলনের যৌথ আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বক্তব্য দেন। কমনওয়েলথের বিদায়ী চেয়ারম্যান মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মাসকাটের বক্তব্যের পর সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্টকল্যান্ড। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাখা হয় সংগীত, নৃত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনা এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও কমনওয়েলথ মহাসচিব সরকারপ্রধানদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘টুয়ার্ডস এ কমন ফিউচার’-এর ওপর দুটি সেশনে অংশগ্রহণ এবং কমনওয়েলথ মহাসচিবের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
পরে সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের ওপর আরেকটি এক্সিকিউটিভ সেশন হয় এবং রাতে রানির দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত সংবর্ধনা ও রানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
"