আদালত প্রতিবেদক
রাজীবের হাত হারানো মামলা
দুই বাসচালকের জামিন নামঞ্জুর
দুই বাসের চাপে তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর মামলায় দুই বাসচালকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। জামিন না পাওয়া আসামিরা হলেন বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ (৩৫) ও স্বজন বাসের চালক খোরশেদ (৫০)। ওয়াহিদের পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ ইউনুস ও খোরশেদের পক্ষে হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জামিন শুনানি করেন। এর আগে গত ৫ এপ্রিল এ দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৮ এপ্রিল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তারা কারাগারেই আছেন।
প্রসঙ্গত গত ৩ এপ্রিল রাজীব বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্বজন পরিবহনের একটি বাস তার বাসটিকে ঘেঁষে ওভারটেক করতে গেলে মাঝখানে চাপা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার ডান হাত। তাকে উদ্ধার করে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে পর দিন তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন রাজীব এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে মা ও ৮ বছর আগে বাবা হারান রাজীব। এতিম দুই ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল থেকে চলে আসেন ঢাকায়। ঠাঁই মেলে খালা জাহানারা বেগমের কাছে। ভাইদের স্কুলে ভর্তি করান। পরে রাজীব ভর্তি হন সরকারি তিতুমীর কলেজের বাণিজ্য বিভাগে। তার ইচ্ছা ছিল দুই ভাইকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার। কিন্তু দুই বাসের চাপায় ডান হাত হারিয়ে রাজীব এখন মৃত্যুপথযাত্রী।
তার ছোট দুই ভাই মেহেদী হাসান (১৩) ও আবদুল্লাহ (১১) কোরআনে হাফেজ। মাদ্রাসার পাঠ চুকিয়ে হাসান সপ্তম শ্রেণিতে ও আবদুল্লাহ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।
"