ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬
ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের অবস্থানকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন কেন্দ্রীয় সংসদের উপনাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান নিশু, সহ-সম্পাদক ইমরান জোয়ার্দার, ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মাহবুব হোসেন খান, সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হাসান, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী সাগর রহমান। আহতদের মধ্যে তিনজন গত ৯ মার্চও মারধরের শিকার হয়েছিলেন। তখনো একই বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ মধুর ক্যান্টিন থেকে বের হওয়ার পর সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী এগিয়ে এসে কোটা সংস্কার আন্দোলন, সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির বিষয়ে জানতে চান।
কেন্দ্রীয় উপনাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান নিশু বলেন, ছাত্রলীগের পদে থেকে যারা কোটা নিয়ে এখনো আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তখন সভাপতি সোহাগ ও তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন। তার সঙ্গে থাকা সহসভাপতি আরিফুর রহমান লিমন এসে মারার নির্দেশ দেন বলে সুজন জানান।
সুজন সাংবাদিকদের বলেন, সভাপতি সোহাগের উপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মোহাম্মদ নিজামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম এহতেশামের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী মারধরে অংশ নেন।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়েছে।’
"