নিজস্ব প্রতিবেদক
আসামিরা বাইরে কীভাবে : দুদক চেয়ারম্যানের প্রশ্ন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আসামিদের হয় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হয় গ্রেফতার হতে হবে। তারা বাইরে কেন? তারা মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ালে দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান প্রভাব জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার কর্মকর্তাদের এসব কথা বলেছেন।
কমিশনের ৫ বছর মেয়াদি (২০১৭-২০২১) কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ২০১৮ সালের কার্যক্রমের ওপর অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, গত দুই বছরে ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দুদক। অনেক আসামি এখনো আইনের কাছে আত্মসমর্পণ না করে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে তারা ঘুরে বেড়ায়? তিনি বলেন, দুদকের প্রতিটি মামলার আসামিকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্ত প্রক্রিয়ায় সময়সীমা অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ কেউ সময়সীমা লঙ্ঘন করেন। উপযুক্ত কারণ ছাড়া কোনো অনুসন্ধান বা তদন্তে সময়সীমা লঙ্ঘন সহজভাবে নেবে না কমিশন।
তদারককারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গত দুই বছরে দুই হাজারেরও বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তাকেই পাঁচ-সাতবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারপরও অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্তের গুণগতমান পুরোপুরি কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার নাসিরউদ্দীন আহমেদ, সচিব শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. জয়নুল বারী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ : এদিকে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইউসুপ এস রামাদান দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে এসে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সংবাদপত্রে দুদকের কার্যক্রম দেখে আশান্বিত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, কমিশনের এ জাতীয় কার্যক্রমে তার দেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, এসব কার্যক্রম পরিচালনায় কমিশনের ওপর কোনো চাপ থাকে কিনা? জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, গত দুই বছরে বহু ক্ষমতাবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত একটি ঘটনায়ও কেউ তদবির কিংবা কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, আইন অনুসারে কারো পক্ষেই কমিশনকে চাপ দেওয়ার সুযোগ নেই।
"