নিজস্ব প্রতিবেদক
ঋণ কেলেঙ্কারি
ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতিসহ গ্রেফতার চার
ঋণ কেলেঙ্কারির এক মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম। চিশতি ছাড়া গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন চিশতির ছেলে রাশেদুল হক চিশতি, ব্যাংকের এসভিপি জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।
এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনাটি গত বছর থেকে অনুসন্ধান করছে দুদক। সে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মাহবুবুল হক চিশতি, তার পরিবারের পাঁচ সদস্য, ব্যাংকের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুদক। ওই তালিকায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নাম ছিল না।
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনিয়ম তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতি। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিকস্খলন ঘটেছে এবং তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির জনবল নিয়োগ হয়েছে মূলত এ দুজনের সুপারিশেই। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তারা নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া মাহবুবুল হক চিশতির ছেলে রাশেদুল হক চিশতির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আরসিএল প্লাস্টিকের সঙ্গে ব্যাংকের গ্রাহকদের অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও বেরিয়ে আসে।
২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া ফারমার্স ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তারা।
"