নিজস্ব প্রতিবেদক
সাক্ষাৎ শেষে ফখরুল
খালেদা জিয়া ভালো নেই, তবে মনোবল শক্ত
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশি ভালো নয়, তবে তার মনোবল শক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার ব্যক্তিগত চিকিৎককে দিয়ে করানোর দাবি জানান ফখরুল। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফখরুল নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন।
এদিকে সকালে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে আমাদের প্রথম দাবি, এক নম্বর শর্ত। তারপর অন্য কিছু আলোচনা হবে। তার আগে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করতে চাই না।’
কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের স্বাস্থ্য খুব ভালো নয়। প্রথম থেকেই আমরা তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুব উদ্বিগ্ন। তার সমস্যাগুলো বেশ বেড়ে গেছে। এখন হাঁটতেও কষ্ট হয়। তার স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা যেটা দরকার, দুঃখজনকভাবে সেই চিকিৎসা তিনি এখনো পাচ্ছেন না। কারণ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে তাকে এখনো পর্যন্ত দেখা করতে দেওয়া হয়নি বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়নি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যদিও এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তাকে দেখতে এসেছিলেন, কিছু পরীক্ষার কথা তারা বলে গেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, যারা নিয়মিত তার চিকিৎসা করেন, তাদের দ্বারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া দরকার। অবিলম্বে দেওয়া উচিত।’
তার স্বাস্থ্য কেমন- এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, ‘এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার, আপনারা বুঝতেই পারেন যে মানুষ বন্দিজীবনে অভ্যস্ত নন, তাকে যখন বন্দি করে রাখা হয়, তখন অবশ্যই চেহারায় একটি ছাপ পড়ে। কিন্তু তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত। তিনি আমাদের চেয়েও শক্ত মনের মানুষ। তিনি বারবার এ কথা বলেছেন, আমার (খালেদা) জন্য আপনারা ভাববেন না, আমি ভালো আছি এবং এসব ছোটখাটো সমস্যা আমাকে সমস্যায় ফেলবে না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম একাই খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তার সঙ্গে দলের অন্য নেতারা কেউ ছিলেন না। ফখরুল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কারাগারে যান। বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে পৌনে ৬টার দিকে কথা বলেন।
সকালে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, এই নির্বাচন কমিশন এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তার পরও আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ন্যূনতম সুযোগ হিসেবে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছি। জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আপাতত কোনো আলোচনা নেই। আমাদের মূল এজেন্ডা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।’
এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপার সভাপতি রেহেনা প্রধান।
"