খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে
সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নেই
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম
খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে এ নির্বাচনে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বাছাই করে সেখানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সহায়ক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার জানান, কোনো নিষিদ্ধ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো লোক নির্বাচন করতে পারবেন। সব প্রার্থী যাতে সমান অধিকার পান, সেজন্য প্রশাসনকে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে কোনো প্রকার নির্দেশনা না এলে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের (ঝুঁকিপূর্ণ) ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। এসব কেন্দ্রে যতদূর সম্ভব সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি এসব কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জোর দিচ্ছি মনোনয়নপত্র কেনাবেচা, যাচাই-বাছাইয়ে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি ও অনিয়ম যাতে না হয়। এজন্য আমরা এবার নির্বাচন পরিচালনাকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এ ছাড়া প্রার্থীরা সবাই যাতে নির্বিঘেœ প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারেন, সে ব্যাপারেও প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলার যে বিষয়গুলো রয়েছে যেমন, কারো বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা থাকে, এসব বিষয়ে আইন আইনের গতিতেই চলবে।’
ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এর আগে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা যেসব মেশিন ব্যবহার করেছিলাম তা এবার বাতিল করা হয়েছে। এ নির্বাচনে আমরা আরো উন্নত ইভিএম মেশিন ব্যবহার করব। তবে খুলনাতে কটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা ভাবছি না। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনাও নেই।’
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমানসহ নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
"