আদালত প্রতিবেদক
খালেদার অসুস্থতা গোপনের অভিযোগ আইনজীবীদের
কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গোপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তার আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে তারা চিন্তিত। আইনজীবীরা মনে করেন, তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন। গতকাল বুধবার দুপুরে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এসব কথা বলেন।
এদিকে কারা কর্তৃপক্ষ হাজির করেনি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এই মামলায় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ হাজির না করার কারণ অনেক রকম থাকতে পারে। আমরা গত তারিখেও তাকে পাইনি। উনি জেল কাস্টডিতে আছেন। কাস্টডিতে থাকাকালে তার দেখভাল করার দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের। কারা কর্তৃপক্ষ যদি হাজির না করে, এখানে তো আমাদের বলার কিছু নেই।
আদালতকে কারা কর্তৃপক্ষ কী জানিয়েছে, অসুস্থতার ব্যাখ্যা দিয়েছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই আইনজীবী বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ কী ব্যাখ্যা দিয়েছে আমি জানি না।
এর আগে কাজল সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়াকে জেল কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির না করায় মামলার নতুন তারিখ হয়েছে। আশা করছি, আগামী ৫ এপ্রিল থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বাকি কার্যক্রমগুলো সম্পূর্ণ করতে পারব।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বুধবার মামলার তারিখ ধার্য ছিল। খালেদা জিয়াকে এদিন আদালতে আনা হয়নি। আদালতের পরোয়ানার ফিরতি কাগজ (কাস্টডি পরোয়ানা) দেখেছেন বলে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি খালেদা জিয়া অসুস্থ। যেহেতু তিনি অসুস্থ, আমরা খুবই চিন্তিত। কারণ, আমরা জানতে পারছি না। উনারাও পরিষ্কার করে কিছুই বলেননি। তিনি কী রোগে ভুগছেন, তিনি কেন এলেন নাÑ সরকারের পক্ষ থেকে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। শুধু লেখা আছে, বেগম খালেদা জিয়া জেলে অসুস্থ। এই মামলার আগামী তারিখ ধার্য করেছে ৫ এপ্রিল।
আরেক আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা সাড়ে ৯টায় আদালতে এসেছি। দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় ফোনালাপ করতে আমরা দেখলাম। তাদের মধ্যে আমরা বিভিন্ন দৌড়ঝাঁপ দেখেছি। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে হাজির করা হচ্ছে না। অবশেষে আমরা যেটা দেখলাম, একটা পরোয়ানা জেলখানা থেকে এসেছে। সেখানে আমরা জানলাম, তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ।
আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা চিন্তিত। আমরা শঙ্কিত। খালেদা সুচিকিৎসার প্রয়োজন। আমরা আগের জামিনে যে কথাগুলো উল্লেখ করেছি, এটিই আজকে প্রকারান্তরে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে।
"