গাজী শাহনেওয়াজ
এনআইডি মুদ্রণের ক্ষমতা পাচ্ছেন মাঠ কর্মকর্তারা
হারানো কার্ড সংশোধন হবে আঞ্চলিক অফিসে
কাগজে মুদ্রিত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার ক্ষমতা পাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এই মুদ্রিত এনআইডির মেয়াদ হবে দুই বছর। পাশাপাশি এসব কর্মকর্তারা হারানো কার্ড মুদ্রণেরও ক্ষমতা পাচ্ছেন। এনআইডি সেবা নাগরিকদের জন্য সহজতর করতে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, নাগরিক সুবিধা সংবলিত এই কার্ড প্রক্রিয়াকরণ ও মুদ্রণের ক্ষমতা জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ বা আইডিয়া প্রকল্পের তত্ত্বাবধানেই থাকছে। খবর ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রের।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ও এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন) মো. আবদুল বাতেন বলেন, এনআইডি সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে কাজ করছে কমিশন। এনআইডির ভুল সংশোধনের নথি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলবে। আবেদন গ্রহণ থেকে সংশোধন হওয়া পর্যন্ত সময় লাগবে মাত্র ৩০দিন। বর্তমানে এই কাজটি করতে কয়েক মাস লেগে যায়। এছাড়া ২০১২ সাল থেকে স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য যেসব ভোটারকে পেপার মোড়ানো পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি, তাদের সাময়িক পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এ কার্ডের মেয়াদ হবে দুই বছর। এছাড়া আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা যাদের আরইও বলা হয়, তাদের এ কার্ড মুদ্রণের ক্ষমতার পাশাপাশি হারানো কার্ড দেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।
জানা গেছে, বর্তমানে এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর থেকে শুরু করে হারানো কার্ড উত্তোলন সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয় নির্বাচন ভবনের অষ্টম তলার এনআইডি উইং থেকে। ঢাকায় না এসে মাঠ পর্যায়ের অফিসে আবেদন করতে পারলেও সব প্রক্রিয়া প্রধান কার্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এখন থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা হারানো কার্ড মুদ্রণের ক্ষমতা পাচ্ছেন। গত ১১ মার্চ এনআইডির এক পত্রে এ নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। এই কাজটির জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রত্যেকটি অফিসের জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দও দিয়েছে কমিশন। এসব অর্থ দিয়ে হারানো কার্ড ও নতুন কার্ড মুদ্রণ করতে পারবেন তারা। কাজটির জন্য প্রত্যেকটি অফিসের জন্য কেনা হচ্ছে ২টি প্রিন্টার, ২টি লেমিনেটিং মেশিন, ২টি কাটিং মেশিন এবং পাউচ।
এদিকে, কাগুজে মুদ্রিত লেমিনেটেড কার্ড দিতে পারবেন নতুন ভোটারদের। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় কোটি ভোটার পরিচয়পত্র না পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন। এর মধ্যে ৯৭ লাখ ভোটার ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভোটার হয়েও পরিচয়পত্র পাননি। এদের সাময়িক অর্থাৎ দুই বছরের জন্য কাগুজে কার্ড দিচ্ছে কমিশন। পরবর্তীতে নতুন প্রকল্প সাপেক্ষ ৯ কোটির মতো ভোটাররা স্মার্টকার্ড পাবেন।
"