সিলেট প্রতিনিধি
জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা
হামলাকারী ফয়জুর ১০ দিনের রিমান্ডে
ফয়জুরের ফোনসহ ভাই এনামুল গ্রেফতার
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় হামলাকারী ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম (তৃতীয় আদালত) হরিদাস কুমার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে গাজীপুরে ফয়জুরের ফোনসহ গ্রেফতার হয়েছে তার ভাই
এনামুল। রিমান্ডে নিয়ে ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদ গতকালই শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব। ফয়জুর ছাড়াও তার মা-বাবা-ভাইসহ ছয়জন এ ঘটনায় আটক আছেন। মামলায় শুধু ফয়জুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জাফর ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত বুধবার দুপুরের দিকে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। হামলার পর থেকে ফয়জুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বুধবার চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানায়, ফয়জুর স্বাভাবিক এবং আগের চেয়ে সুস্থ আছেন।
গত শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলার সময় অধ্যাপক জাফর ইকবাল হামলার শিকার হন। পেছন থেকে জাফর ইকবালের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ফয়জুর।
ফয়জুরের ফোনসহ ভাই এনামুল গ্রেফতার : গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোন ও ট্যাবসহ তার ভাই এনামুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিসি মহিবুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর ফয়জুরের ফোন ও ট্যাব নিয়ে পালিয়ে যায় এনামুল। গাজীপুর থেকে ওই ফোন ও ট্যাবসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফোন ও ট্যাব ঘেঁটে তাদের জঙ্গি কর্মকা-ে সম্পৃক্ততার আলামত পাওয়া গেছে।
গত ৩ মার্চ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ফয়জুর ছুরি নিয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালান। হামলার পরপরই ফয়জুরকে ধরে ফেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ফয়জুরের মামা ও চাচাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। পর দিন রোববার তা সন্ত্রাস দমন আইনের মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে পুলিশি হেফাজতে ফয়জুর।
"