ক্রীড়া ডেস্ক
সুযোগ হারাল বাংলাদেশ
ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। কথাটা বোধহয় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য নয়। কাল নিদাহাস ট্রফিতে একের পর এক সুযোগ পেয়েও সেগুলো হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। পুরো ইনিংসে বেশ কয়েকবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তবু রোহিত শর্মাদের চ্যালেঞ্জিং কোনো সংগ্রহ ছুড়ে দিতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। টি-টোয়েন্ট ব্যাটিং ফরমেটে শম্বুক গতিতে এগিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনীর পর নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১৩৯ রান করেছে বাংলাদেশ।
কাল কলম্বোতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ। প্রথম ওভার থেকেই সবার তেড়েফুঁড়ে মারার ইচ্ছা দেখা গেল। উনাদকাটের শেষ বলে সøগ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে বল তুলে দিলেন সৌম্য সরকার। ভারতীয় তিন ফিল্ডার মিলে লেজে গোবরে করে সে যাত্রা বাঁচিয়ে দিলেন বাংলাদেশি ওপেনারকে। তৃতীয় ওভারে উনাদকাটকে পেয়েই ছক্কা সৌম্যের। কিন্তু সে ছক্কা যে বড় কিছুর ইঙ্গিত নয়, সেটা প্রমাণ করতেই এক বল পরেই শর্ট ফাইনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সৌম্য।
পরের ওভারে ফিরতে পারতেন তামিম ইকবালও। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে তার তোলা ক্যাচ ফিল্ডারের নাগালের একটু বাইরে পড়েছিল। পরের ওভারের তৃতীয় বলেই তামিমকে আউট করে দিলেন শার্দুল ঠাকুর। রিভিউ নিয়ে বেঁচেও গেলেন। সে আনন্দে পরের তিন বলে চার, চার এবং ফাইন লেগে ক্যাচ! ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
স্কোর দ্বিগুণ হতে হতে উইকেট সংখ্যাও ৪ হয়ে গেল। দুই চার ও এক ছক্কায় একটু ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ছক্কা মারার পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ১৮ রানে থেমে গেলেন। বিজয় শংকরের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট পাওয়ার আনন্দ দ্বিগুণ করে একটু পরেই ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য কোনো ঝড়-টরের ইঙ্গিত দেননি। অষ্টম বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ১ রান করেছেন অধিনায়ক।
এর আগেই অবশ্য শংকরকে দুবার মাথা নাড়তে হয়েছে নিজের দুর্ভাগ্যে। তার এক ওভারেই দুবার ক্যাচ তুলেছেন লিটন দাস। কিন্তু খুবই হাস্যকরভাবে ক্যাচ ফেলেছেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। ১৫তম ওভারে আরেকটা ক্যাচ ফেলেছে ভারত। এবারও দুর্ভাগা বোলার শংকর। তবে কাউকে দোষ দেওয়ার উপায় নেই, সাব্বিরের তোলা ক্যাচ দৌড়ে গিয়েও ধরতে পারেননি শংকর।
আকাশে বল তোলার রোগ অবশ্য এরপরও সারেনি বাংলাদেশের। পরের ওভারের প্রথম বলে যুজবেন্দ্র চাহালকে তুলে মারতে গেলেন লিটন। লং অফে রায়নার হাতে ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। ক্যাচ দেওয়ার ধারা বজায় রেখে মিরাজ (৩), সাব্বিরও (৩০) ফিরলেন। রানটাও তাই দেড় শর ধারে কাছে গেল না। ব্যাটসম্যানের প্রস্তর যুগের ব্যাটিংয়ের মাশুল বাংলাদেশ দল দিয়েছে কি না ক্রিকেটপ্রেমীরা এতক্ষণে জেনে গেছেন নিশ্চয়ই।
"