নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ মার্চ, ২০১৮

বললেন সড়ক সচিব

খানাখন্দ মেরামতে শিগগিরই সাফল্য আসবে

সারা দেশে সড়ক-মহাসড়কে খানাখন্দের জন্য দায়ী অতি বৃষ্টি ও বন্যা। তবে এখন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করা যায় আগামী জুনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। ঈদযাত্রা মৌসুমে যাতে সড়কে কোনো ভোগান্তি না হয় সেজন্য মেরামতের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মহাসড়কের রক্ষণাবেক্ষণে নেওয়া কর্মসূচির ৪০ শতাংশ এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে কাজটা চোখে পড়ার মতো হবে, জুনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসবে।

তিনি জানান, সড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার অধিকাংশ কাজ চলমান। মন্ত্রণালয়ের ২৩টি টিমের মাধ্যমে এ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। বন্যা ও অতি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত আরো ১ হাজার ১৬৬ কোটি টাকার চাহিদা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ১ হাজার ৭০৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অনুকূলে ১৩ হাজার ৭০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতি বৃষ্টি এবং আগাম বন্যার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ ও মেরামত করা হচ্ছে কিনাÑ এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, তারা নকশায় পরিবর্তন আনছেন।

সচিব জানান, দেশে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) আওতাধীন ৮৭৬টি মহাসড়ক আছে। এর মধ্যে ৯৬টি জাতীয়, ১২৬টি আঞ্চলিক এবং ৬৫৪টি জেলা মহাসড়ক। গত বর্ষা মৌসুমে ২২টি জেলার ৬২টি স্থানে ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার মহাসড়ক বিলীন হয়ে যায় এবং ৭৫টি স্থানে ৬৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় ২৫১টি স্থানে পাহাড়ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে; বন্যায় ৫ হাজার ১১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে তথ্য দেন সচিব।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নজরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার দুদকের রিপোর্ট আমার হাতে এসেছে। দেখে শুনে ব্যবস্থা নেব। দুদক সুনির্দিষ্ট করে কোনো ইঞ্জিনিয়ারের নাম বলেনি, কোথায় এমন ঘটনা ঘটেছে তাও বলেনি, তবে তাদের কথার যৌক্তিকতা আছে।

রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগের কারণে তাড়াতাড়ি সড়ক নষ্ট হয়ে যায়Ñ এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সচিব দাবি করেন, তিনি গত অক্টোবরে এ দায়িত্বে আসার পর কোনো রাজনৈতিক তদবির পাননি।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ ধরনের (রাজনৈতিক বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ) কোনো রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। ঠিকাদারের কোনো চরিত্র আমাদের জানা নেই, ঠিকাদার ঠিকাদারই। কে কোন দল করে, কোন দল সমর্থন করে এ বিষয়টা আমরা বিবেচনায় নেই না এবং ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটা বিবেচ্য বিষয়ও নয়।

১০০ কোটি টাকার নিচে সব টেন্ডার এখন অনলাইনে করা হয় জানিয়ে সওজের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অধিকাংশ কাজ দরপত্র ছাড়াই করা হয় বলে যে অভিযোগ করা হয় তা ‘অসত্য’। বড় কাজগুলো ক্রয় কমিটির মাধ্যমে করা হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরাও সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist