আদালত প্রতিবেদক

  ০২ মার্চ, ২০১৮

রিট খারিজ

নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে যে মামলা শুনতে হাইকোর্টের ডজনখানেক বেঞ্চ বিব্রত হয়েছিল, সেই মামলাটি ‘অসৎ উদ্দেশ্যে করা’ হয়েছিল বিবেচনা করে তা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ। এক যুবলীগ নেতার করা ওই রিট আবেদনে চার বছর আগে দেওয়া রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়। ফলে ফেনীর আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম হাজারীর এমপি পদে থাকার বৈধতা নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকল না বলে তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মÐল। ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর এমপি পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক সাখাওয়াত।

তার যুক্তি ছিল সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো ব্যক্তি যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদÐে দÐিত হন তাহলে মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।

রায়ে বিচারক বলেছেন, জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করার কথা বলা হলেও এর পেছনে ‘অসৎ উদ্দেশ্য ও ব্যক্তিগত স্বার্থ’ ছিল বলে আদালতের মনে হয়েছে। সেই বিবেচনায় এ মামলাকে জনস্বার্থে বলা যায় না। রিট ‘মেনটেইনেবল’ না হওয়ায় রুল খারিজ করা হলো।

২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় দুইটি ধারায় ১০ বছর ও সাত বছর কারাদÐ হয়েছিল নিজাম হাজারীর, যা আপিলেও বহাল থাকে। সে হিসাবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হলেও তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাংসদ হয়ে যান বলে অভিযোগ করা হয়েছিল রিট আবেদনে। তিনটি বেঞ্চ ওই মামলা শুনতে বিব্রত বোধ করে। পরে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন।

২০১৬ সালের ৩ আগস্ট এই রিটের রুলের ওপর শুনানি শেষ করে আদালত ১৭ আগস্ট রায়ের দিন ঠিক করে দিলেও ওইদিন নতুন একটি নথি চাওয়া হলে রায় পিছিয়ে যায় ২৩ আগস্ট। সেদিন আদালতে ফের শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবীরা। ‘রক্তদান করে’ নিজাম হাজারী কারাবাস রেয়াতের অধিকারী হয়েছেন বলে তার আইনজীবীরা সেদিন আদালতে যুক্তি দেন।

শুনানির পর আদালত ৩০ আগস্ট রায় দেওয়া শুরু করলেও নিজাম হাজারীর আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন সেদিন বলেন, নিজাম হাজারী কারাগারে থাকার সময় মোট ১৩ বার রক্ত দিয়েছিলেন। যার বিপরীতে তিনি ৪৮৬ দিনের কারাবাস থেকে রেয়াত পাওয়ার অধিকারী হয়েছেন। এটা ধরা হলে তার সাজার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় তিনি কারাগারে ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist