আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রত্যাবর্তন নয়, রোহিঙ্গাদের স্বশাসিত এলাকা দরকার
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে ইতোমধ্যেই প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। শুরু থেকেই তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল থেকে কথা চলছে। রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা যে গণহত্যা চালিয়েছে, সে ব্যাপারে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের নেতারাও মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো সেখানে গণহত্যার প্রমাণ দেখিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গা নারীদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের, আগুনে পুড়িয়ে শিশুহত্যা এবং যুবকদের হত্যা এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার। যদিও আগে থেকেই রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বসহ মিয়ানমারের সবরকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি হয়। তবে ফিরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া কিংবা তাদের নিরাপত্তারও কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
এমতাবস্থায় রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়াকে অনেকেই তামাশা বলে মনে করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক অ্যাক্টিভিস্টরা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াটা কার্যকর হবে না। বরং তাদের স্বশাসিত এলাকা দরকার। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
কারণ ১৯৭৮ সালেও অবৈধ নাগরিকদের বের করে দিয়েছিল মিয়ানমার। ওই সময় বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয় মিয়ানমার। এবারেও রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তবে জাতিসংঘের সেই উদ্বেগকে গুরুত্ব দেয়নি মিয়ানমার সরকার। সূত্র : আলজাজিরা
"