প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক শিশুকে হত্যার দায়ে তার চাচা ও চাচাত ভাইকে এবং চাঁদপুরে কলেজছাত্র হত্যা মামলায় দুই বন্ধুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
নারায়ণগঞ্জ : তিন বছর আগে করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিতরা হল আড়াইহাজার উপজেলার বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও তার ছেলে মাহফুজুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় তারা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। এছাড়া লাশ গুম করার অপরাধে আসামিদের তিন বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড এবং অপহরণের অভিযোগে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৯ মে বগাদি কান্দাপাড়া গ্রামের চিকিৎসক নাছির উদ্দিনের ছেলে মাকসুদুল ইসলাম তুহিনকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তুহিনের বাবা আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
তিন দিন পর তুহিনের চাচাত ভাই মাহফুজুলকে নরসিংদী থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ বাড়ির একটি ড্রাম থেকে তুহিনের লাশ উদ্ধার ও চাচা বিল্লালকে গ্রেফতার করে। পরে মাহফুজুল আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় যে, তার বাবাকে মারধরের প্রতিশোধ নিতে আমভর্তা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে সে তুহিনকে অপহরণ করে। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ একটি ড্রামের ভেতর ভরে রাখে।
চাঁদপুর : চাঁদপুরে কলেজছাত্র আল আমিন সজল হত্যা মামলায় দুই বন্ধুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল
সোমবার বিকেলে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমেদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর রালদিয়া গ্রামের বকাউল বাড়ির মানিক গাজীর ছেলে হাবিবুর রহমান নিশান ও একই বাড়ির বাবুল বকাউলের ছেলে নাজমুল ইসলাম বেপারী সুমন।
মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি সজলকে হত্যার পর তার দুটি মোবাইল ফোন চুরির অপরাধে আদালত দুজনকেই তিন বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে বলে পিপি মো. আমান উল্যাহ জানান।
সজল চাঁদপুর শহরের বিপনবাগ এলাকার মির্জা মো. অজি উল্যাহর ছেলে। শহরের পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি জানান, ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে ফোন করে সজলকে বাসা থেকে ডেকে নেয় বন্ধুরা। তারপর আর ফিরে না আসায় পরদিন সজলের বাবা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় ২ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ নিশানকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুমনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে রালদিয়া গ্রামের একটি বাগান থেকে সজলের মাটিচাপা লাশ পাওয়া যায়।
নেশার টাকার জন্য গলায় রশি পেঁচিয়ে সজলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিতে জানায় তারা।
"