নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮

মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

উন্নয়নে গ্রামের মানুষ অগ্রাধিকার পাবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় গ্রামের মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য। তিনি বলেছেন, প্রকৃতির খেয়াল-খুশিতে এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটবে। গতকাল রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহেশখালীর মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার

ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতসহ জাপানি প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন। আর মহেশখালীতে ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ আরেকটি প্রতিনিধি দল।

মহেশখালীতে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, মাতাবাড়ির ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার মাহমদুল্লাহ ও স্কুলছাত্রী তানজিলা ছোট্টমনি কথা বলেন ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নব্বই ভাগ মানুষ আজ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যত বাড়ছে, তত বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। কাজেই চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। চাহিদা মেটানোর জন্য যা যা করণীয় আমরা তাই করছি। বিদ্যুৎ দিলেই মানুষের জীবন-জীবিকার পথ খুলে যায়। আজকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, বিদ্যুৎ অপরিহার্য। উন্নয়ন পরিকল্পনায় আমরা সব সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলকে অর্থাৎ গ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রকৃতির খেয়াল-খুশিতে এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। মহেশখালীর মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা করে দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেখলাম, এ কাজ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশে নতুন কিছু করতে গেলে নানা রকম বাধা আসে। নতুন নতুন তাত্ত্বিক আসে। কেউ কেউ হতাশায় ভোগে। কেউ কেউ বলে, গেল গেল সব গেল, সব গেল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সব সময় বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে আছে। হলি আর্টিসানে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন, এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি কক্সবাজারের প্রশাসন, আমাদের দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানাব, এই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে যারা কাজ করছে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আপনারা খেয়াল রাখবেন। কারণ তারা আমাদের অতিথি, আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।

গণভবনে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পে নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ?উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।

চেয়ারম্যান মাস্টার মাহমদুল্লাহর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের অধিগ্রহণ হওয়ার জমির মালিকদের আমরা নিরাশ করিনি, করব না। তাদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, অবশিষ্টদেরও দেওয়া হচ্ছে। মাতারবাড়ির মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে।

স্কুলছাত্রী তানজিলার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বলেন, মাতারবাড়িকে আধুনিকায়ন করা হবে। একটি আধুনিক মানের কলেজ ও সুপরিসর হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

মাতারবাড়ির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহামদ চৌধুরী, কক্সবাজার সদর ও রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, উখিয়া- টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস, চট্টগ্রাম উপ-বিভাগীয় কমিশনার নিজাম উদ্দীন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও কোল পাওয়ার জেনারশনের এমডি আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহিদুর রহমান, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন ইব্রাহিম, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম, ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist