নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ জানুয়ারি, ২০১৮

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী ধর্ষণের অভিযোগ!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে রোগী ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবার। শাহবাগ থানার এসআই রিপন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিএসএমএমইউর চিকিৎসক রিয়াদ

সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক রোগীর পরিবার। গত সোমবার ওই তরুণীর বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর থেকে ওই চিকিৎসক পলাতক। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার ওই তরুণী ঢাকার সিএমএম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তরুণীকে তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী ভোলায় থাকেন। সেখানেই পড়াশোনা করছেন। ভোলায় ডা. রিয়াদ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। গত বছরের ৬ অক্টোবর দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে বিবস্ত্র করে স্পর্শকাতর জায়গাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মলম লাগায় রিয়াদ সিদ্দিকী। ওই ছাত্রী বাধা দিলে তাকে নানাভাবে শাসানো ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। লোক-লজ্জার ভয়ে বিষয়টা কাউকে জানায়নি ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরবর্তী তারিখে চিকিৎসা নিতে গেলেও একইভাবে বিবস্ত্র করে মলম লাগানো হয়। এরপর ধর্ষণ করে ওই চিকিৎসক। ধর্ষণের সেই দৃশ্য ভিডিও করে রাখা হয়। ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। ভয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে এতদিন জানায়নি।

পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর পরিবারকে ডা. রিয়াদ সিদ্দিকী জানায়, মেয়ের মরণব্যাধি হয়েছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসতে হবে। তার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হবে। চিকিৎসকের কথামতো ওই ছাত্রীকে নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন বাবা-মা। তখন পরিবারের লোকজনদের অপেক্ষা করতে বলে ওই ডাক্তার মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের চারতলার একটি নির্জন রুমে নিয়ে ধর্ষণ করতে গেলে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি ও চিৎকার করে। এ সময় ওই চিকিৎসক মেয়েটিকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আবারও ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় চিকিৎসক। ওই ছাত্রীকে গত ৪ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। গত ৮ জানুয়ারি তার চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist