প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
শীত বেড়েছে
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সর্বত্রই জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। তীব্র শীতে দেশের অনেক অঞ্চলেই জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল রোববার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। লোকজন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী,
শুক্রবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও শনিবারে ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার তা কমে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের মাঝারি শৈত্য প্রবাহটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আজকের তাপমাত্রা চলতি মৌসুমে রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন। এটি গত শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াম।
আগামী দুই থেকে তিন দিন এই অবস্থা বিরাজমান থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৯ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। এদিকে, রোববার দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতের কারণে দিনাজপুরের মতো রাজশাহীতেও জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। ঘনকুয়াশা থাকায় মানুষ বাড়ি থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না। দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ যারা কাজে বের হয়েছেন, ঠা-ায় তারাও ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে গত বুধবার থেকে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘনকুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভব হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, রোববার দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে। এদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ অবস্থা আরো কিছুদিন থাকবে।
"