আদালত প্রতিবেদক
ড্যাফোডিলের সেতু হত্যায় মেজবাউলের যাবজ্জীবন
সাড়ে চার বছর আগে ঢাকার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সেতু সরকারকে হত্যার ঘটনায় এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেজবাউল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন গতকাল রোববার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় একটি ধারায় ২৫ বছর বয়সী মেজবাউলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আরেকটি ধারায় ওই তরুণকে ১০ বছরের কারাদন্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারক। আর সেতুকে বলাৎকারের ঘটনায় মেজবাউলকে ১০ বছরের কারাদন্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ আদালতের বিশেষ প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ ভূঁইয়া জানান, মেজবাউলের সব কারাদন্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাকে কেবল যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে। তবে জরিমানাগুলো সবগুলোই আলদাভাবে প্রযোজ্য হবে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট হাজারীবাগের তল্লাবাগের একটি মেসবাড়িতে সেতু সরকারকে ‘অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের’ প্রস্তাব দেয় মেজবাউল। ওই প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানালে সেতুকে বলাৎকার শেষে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন মেজবাউল। সেসময় সেতুর বন্ধু পুনম কুন্ডু বাধা দিলে তাকেও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনার পরদিন সেতুর কাকা রতন কুমার সরকার হাজারীবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন সেতু। তার বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটার পূর্ব রাঘবপুর গ্রামে। আর মেজবাউল আলমের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার তলবরশিদ গ্রামে।
"