রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত সোমবার হয়ে গেল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫’ প্রদান অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক গ্রহণ করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পান ২৯৯টি ছবিতে অভিনয় করা শাবানা। শাবানার পাশাপাশি আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি পুরস্কার নিতে আসতে পারেননি। তার পক্ষে তার পুত্রবধূ গ্রহণ করেছেন আজীবন সম্মাননা পদকটি।

যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার পান দুজন। (আরো ভালোবাসবো তোমায়) ছবির জন্য শাকিব খান। অন্য দিকে (জিরো ডিগ্রি) ছবির জন্য মাহফুজ আহমেদ। একই সঙ্গে (জিরো ডিগ্রি) ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন জয়া আহসান।

এদিকে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন দুজন। বায়োস্কোপের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের তুলে ধরা (বাপজানের বায়োস্কোপ) ছবিটির পরিচালক রিয়াজুল মওলা রিজু। আর (অনিল বাগচীর একদিন) ছবির জন্য মোরশেদুল ইসলাম। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ২০১৫ সালে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এক নজরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীরা আজীবন সম্মাননা : চিত্রনায়িকা শাবানা ও সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা : শাকিব খান (আরো ভালোবাসব তোমায়) ও মাহফুজ আহমেদ (জিরো ডিগ্রি), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী : জয়া আহসান (জিরো ডিগ্রি)

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : বাপজানের বায়োস্কোপ ও অনিল বাগচীর একদিন, শ্রেষ্ঠ পরিচালক : মো. রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ) ও মোরশেদুল ইসলাম (অনিল বাগচীর একদিন), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : গাজী রাকায়েত (অনিল বাগচীর একদিন), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : তমা মির্জা (নদীজন), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্রে : ইরেশ যাকের (ছুঁয়ে দিলে মন), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী : যারা যারিব (প্রার্থনা), শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : প্রমিয়া রহমান (প্রার্থনা), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : সানী জুবায়ের (অনিল বাগচীর একদিন), শ্রেষ্ঠ গায়ক : সুবীর নন্দী (গান : তোমারে ছাড়িতে বন্ধু, মহুয়া সুন্দরী) ও এস আই টুটুল (গান : উথালপাথাল জোয়ার, বাপজানের বায়োস্কোপ) শ্রেষ্ঠ গায়িকা : প্রিয়াংকা গোপ (আমার সুখ সে তো, অনিল বাগচীর একদিন), শ্রেষ্ঠ গীতিকার : আমিরুল ইসলাম (উথালপাথাল জোয়ার, বাপজানের বায়োস্কোপ), শ্রেষ্ঠ সুরকার : এসআই টুটুল (উথালপাথাল জোয়ার, বাপজানের বায়োস্কোপ)

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : মাসুম রেজা (বাপজানের বায়োস্কোপ)

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : মাসুম রেজা ও মো. রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : হুমায়ূন আহমেদ (অনিল বাগচীর একদিন), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : মেহেদী রনি (বাপজানের বায়োস্কোপ), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : সামুরাই মারুফ (জিরো ডিগ্রি) , শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : মাহফুজুর রহমান খান (পদ্মপাতার জল) , শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রতন কুমার পাল (জিরো ডিগ্রি), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : মুসকান সুমাইকা (পদ্মপাতার জল)

শ্রেষ্ঠ মেকআপ-ম্যান : শফিক (জালালের গল্প), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের মুখে ছিল হাসির ঝলক। এবারের মোট ২৫টি ক্ষেত্রে ৪১জন পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই আসরে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ১৫ জন।

"