বিনোদন প্রতিবেদক
এনটিভিতে রূপচাঁদা-দ্য ডেইলি স্টার সুপার শেফ-২০১৭
এনটিভির পর্দায় আবারো শুরু হচ্ছে রান্না নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান রূপচাঁদা-দ্য ডেইলি স্টার সুপার শেফ-২০১৭। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠান সপ্তাহের শনি ও রোববার রাত ৯টায় এনটিভিতে প্রচারিত হবে।
এরই মধ্যে দেশের ১৭টি অঞ্চলে বাছাই শেষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেকশন রাউন্ড, যাকে বলা হয় প্রতিযোগীদের যুদ্ধক্ষেত্র বা ওয়ার জোন। বিচারকদের রায়ে মোট ২০ জন মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বুধবার বিএফডিসিতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল সেট নির্মাণ করে প্রতিযোগিতার শুটিং চলছে। সেরা দশের চরজন প্রতিযোগী ব্যস্ত তাদের রান্না নিয়ে। নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে রান্না শেষ করে বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করলেন। তিন বিচারক তারিক আনাম খান, ড্যানিয়াল গোমেজ ও শারমিন লাকী খাবার মুখে দিয়ে জানাচ্ছেন তাদের প্রতিক্রিয়া। দিচ্ছেন পরামর্শ। একে একে সবার বানানো রেসিপির স্বাদ গ্রহণ শেষ তারিক আনাম খান নাটকীয় ভঙ্গিতে জানালেন গত পর্বের সেরা চারজনকে নিয়ে আজ যে রাউন্ড চলছে, এ রাউন্ড থেকে কেউ বাদ পড়ছেন না। বরং সেরা রাঁধুনির জন্য রয়েছে সেফটি ব্যাচ। আগামী পাঁচ পর্বে কোনো প্রতিযোগী বাদ পড়লে ওই ব্যাচের বদলে তিনি ফিরে আসবেন। এরপর ঘোষণা করা হলো সুরক্ষা কবজ বিজয়ীর নাম। বিজয়ী আনন্দে হতবিহ্বল। অন্যরা হাততালি দিয়ে অভিন্দন জানালেন।
অনুষ্ঠানটির প্রযোজক ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র প্রতিদিনের সংবাদকে জানালেন, ‘সুপার শেফের চতুর্থ আয়োজন চলছে। আমরা পরপর তিনবার সফল হয়েছি। এবারের আয়োজন অনেক বড় পরিসরে শুরু করেছি। প্রত্যেকবারের মতো এবারও আমরা অনেক সাড়া পেয়েছি। সেরা ১০-এ মেয়ে প্রতিযোগী ছাড়াও আছেন একজন ছেলে। তাদের রান্নার ক্লাস করানো হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক মানের শেফ তুুলে আনতে প্রতিযোগিতার পুরো প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ও ফল প্রকাশে বিচারকদের প্রভাবিত করা হয় না বলেও জানান প্রযোজক ওয়াহিদুল ইসলাম শুভ্র।
অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারক ড্যানিয়াল গোমেজ জানান, ‘এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা। আমাদের দেশি খাবারগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এ জন্যই প্রফেশনাল শেফ হওয়ার জন্য যা যা লাগে সব বিষয়ে গ্রুমিং করানো হচ্ছে।’
নির্বাচন প্রক্রিয়া সমন্ধে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাদের ওপরে সবচেয়ে বেশি মার্কস দিয়ে থাকি। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে কি না, উপস্থাপনে পরিচ্ছন্নতা আছে কি না এবং প্রপার কুকিং মেথড ফলো করছে কি না ইত্যাদি দেখছি। একটা শেফ হতে হলে যা যা দরকার তেমন প্রত্যেকটা জিনিসই আমরা মার্কিংয়ের আওতায় রেখেছি।’
প্রসঙ্গত, এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের একটি নির্দিষ্ট আইটেমের খাবার ৩০ মিনিটের মধ্যে রাঁধতে হয়। যিনি প্রথম হবেন, তার জন্য পুরস্কার ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণের ট্রফি। দ্বিতীয়জন পাবেন পাঁচ লাখ টাকা আর তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন তিন লাখ টাকা। সঙ্গে ট্রফি তো থাকছেই।
"