বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৭ জুলাই, ২০২০

‘অভিনয়ে আমার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি দর্শকের ভালোবাসা’

অভিনয়জীবনের ২৫ বছর অর্থাৎ রজতজয়ন্তী অতিবাহিত করেছেন জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ। ১৯৯৫ সালে দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রিয়াজের অভিষেক হয়। বিমানবাহিনীর চাকরি ছেড়ে রিয়াজ নিজেকে সিনেমার নায়ক হিসেবেই ধীরে ধীরে ব্যস্ত করে তুলেন। ‘বাংলার নায়ক’-এর পর সালমান শাহর সঙ্গে ‘প্রিয়জন’, এবং ‘অজান্তে’, ‘বাঁচার লড়াই’, ‘পৃথিবী আমারে চায়না’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালে এটলাস মুভিজ প্রযোজিত মো. মুখলেছুর রহমান পরিচালিত ‘হৃদয়ের আয়না’ সিনেমায় প্রথম একক নায়ক হিসেবে রিয়াজের যাত্রা হয়। প্রথম একক নায়ক হিসেবেই আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। মতিন রহমানের পরিচালনায় ‘মন মানে না’ সিনেমায় (সালমান শাহর পরিবর্তে) শাবনূরের সঙ্গে প্রথম নায়ক হিসেবে তার যাত্রা। শাবনূরের সঙ্গে রিয়াজকে দর্শক লুফে নেয়। পরবর্তীতে শাবনূরের সঙ্গে আরো বহু সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেন। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে প্রথম নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার। রিয়াজ তার দীর্ঘদিনের অভিনয়জীবনের ক্যারিয়ারে শাবনূর ও পূর্ণিমার সঙ্গেই বেশি অভিনয় করেছেন। নাটকে তার প্রথম অভিনয় করা অতিথি চরিত্রে হুমায়ূন আহমেদের ‘হাবলঙ্গের বাজারে’ নাটকে। পরবর্তীতে হূমায়ূন আহমেদেরই নির্দেশনায় ‘দুই দুয়ারী’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। পরবর্তীতে তৌকীর আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ও চন্দন চৌধুরীর ‘কী জাদু করিলা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন রিয়াজ। অভিনয়জীবনের রজতজয়ন্তী পেরোনো প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আমার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি কোটি দর্শকের ভালোবাসা। আর অবশ্যই এজন্য সর্বপ্রথম যে দুজন প্রিয় মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ সে দুজন হলেন শ্রদ্ধেয় ববিতা আপা এবং প্রয়াত শ্রদ্ধেয় নায়ক জসীম ভাই। কারণ ববিতা আপা আমাকে হাত ধরে এখানে নিয়ে এসেছেন আর জসীম ভাই আমাকে প্রথম কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। অবশ্যই কৃতজ্ঞ পরিচালক দিলীপ বিশ^াস, মতিন রহমান, মহম্মদ হান্নান, কোহিনূর আক্তার সূচন্দা, মতিউর রহমান পানু, এসএ হক অলিক। তারা আমার চলার পথকে সমৃদ্ধ করতে আমাকে অনেক অনেক সহযোগিতা করেছেন। অবশ্যই কৃতজ্ঞ আমার প্রতিটি সিনেমার সহশিল্পী, প্রযোজক, সিনেমাটোগ্রাফার, মেকআপ আর্টিস্ট, কাহিনিকারসহ

আরো যারা আছেন।’

সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছেন আপনি শাবনূর ও পূর্ণিমার সঙ্গে। দুজন সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? জবাবে রিয়াজ বলেন, ‘সহশিল্পী হিসেবে শাবনূরের সঙ্গে আমার ভালো অভিনয় করার প্রতিযোগিতাটা বেশি ছিল। আমরা অভিনয়ে দুজন এত বেশি প্রতিযোগিতা করতাম যে, পর্দায় দর্শকের সামনে আমাদের দুজনের মধ্যে কাজের চমৎকার ক্যামিস্ট্রির কারণে একটা ম্যাজিক তৈরি হতো। অবশ্য আমাদের দুজনের কাজের প্রতি ডেডিকেশনও ছিল অনেক বেশি। আর পূর্ণিমা ভীষণ ভালো একজন অভিনেত্রী।’

এদিকে রিয়াজ পূর্ণিমা অভিনীত সুপার বাম্পার হিট সিনেমা ছিল ‘মনের মাঝে তুমি’। কিন্তু এ সিনেমা হিট হওয়ার পরও চলচ্চিত্রের এক অদৃশ্য সুতোর অশুভ টানে ধীরে ধীরে কোথায় যেন হারিয়ে যান রিয়াজ। শুধু রিয়াজই নন, রিয়াজের সময়কালে যতজন জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন তারাও হারিয়ে যান। রিয়াজ তার ফেলে আসা অতীত নিয়ে অনুশোচনা করেন না, বরং বর্তমানটাকেও উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। ২০০৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রিয়াজ তিনাকে বিয়ে করেন। ২০১৫ সালের ৩০ মে তাদের ঘর আলোকিত করে আমিরা সিদ্দিকীর জন্ম হয়। বর্তমানে রিয়াজ নিজস্ব বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘পিংক ক্রিয়েটিভ লিমিটেড’ নিয়েই

ব্যস্ত রয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close