বাবা মাকে সেবা করার এমন সুযোগ এই সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার জীবনে কোনোদিনই আসেনি। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি টানা জীবনের মুখোমুখি কখনোই কেউ হয়নি, হননি কনাও। গত ২০ মার্চ থেকে কনা রাজধানীর খিলগাঁওতে বাবা মো. দৌলত উল্যাহ ও মা লুৎফুন্নাহারকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের বাসায় নিরাপদে সময় কাটাচ্ছেন। গত সোমবার দুপুরে যখন তথ্য নেওয়ার জন্য কনাকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়, তখন তিনি তার মাকে লেবুর সরবত তৈরি করে দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি সবজি কাটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এমন করেই আরো নানা ধরনের কাজ করে বাবা মায়ের সেবা করে যাচ্ছেন কনা।

ঘরের সবধরনের কাজই তিনি বেশ আগ্রহ নিয়েই বিগত ২৫ দিন ধরে করে যাচ্ছেন, তাতে তার কোনোই ক্লান্তি নেই, জানালেন কনা। কনা জানান কাপড় ধোয়া, ঘর মুছা, টুকটাক রান্না করাসহ যাবতীয় কাজ তিনি আগ্রহ নিয়ে করছেন। আবার নিয়মিত নামাজও পড়ছেন। পেশাগতভাবে সংগীত জীবন নিয়ে ব্যস্ত হবার পর এই জীবনে এত দীর্ঘ অবসর সময় মিলেনি কনার জীবনে। তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে নিভৃতে সময়টাও উপভোগ করার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে কনা জানান, এই দীর্ঘ ২৫ দিনে ঘরে বসেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সমবেতভাবে পাঁচটি গানও গেয়েছেন তিনি। গানগুলো লিখেছেন কবির বকুল, আসিফ ইকবাল, শাওনসহ আরো দুজন। গানগুলোর সুর-সংগীত করেছেন অদিত, নিধি, সন্ধি ও পাভেল।

কনা আরো জানান, টেকনোলজির সর্বোচ্চটুকু ব্যবহার করেই তিনি গান গাইছেন, সময় পার করছেন। এছাড়া পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার ঘরে বসেই সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত একটি রেডিওতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে গতকাল ছিল কনার জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না তার। ঘরে বসেই সময় কাটান কনা। এ প্রসঙ্গে কনা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী চারপাশে আসলে কোনো সুখ নেই। তাই নিজের জন্মদিন নিয়েও তেমন কোনো ভাবনা নেই। শুধু একটি কথাই বলতে চাই, পৃথিবী খুব তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হোক, আমরা যেন নতুন পৃথিবীতে নতুন করে বাঁচতে পারি। সবাই নিজের ঘরেই থাকুন, নিরাপদে থাকুন, নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখুন, অন্যকেও নিরাপদে রাখুন। আর সবার জন্য দোয়া রইল যেন আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখেন সুস্থ রাখেন। আমাদের জন্যও দোয়া করবেন।’

"