বিনোদন প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০২০

সম্মাননায় ভূষিত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের দীর্ঘ ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে স্বনন, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, সমকাল নাট্যচক্র, অনুশীলন নাট্যদল, তীর্থক নাটক, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহী, শীলন, বীকন, অনির্বাণসহ আরো বেশ কিছু সংগঠন অগ্রজ ভূমিকা রেখেছে। বহতা নদীর মতো সেসব সংগঠনের অনেক সাংস্কৃতিককর্মী ছাত্রজীবন শেষে কর্মজীবন শুরু করেন। দেশের নানাপ্রান্তেই ছড়িয়ে আছেন তারা। বিশেষ করে ঢাকায় আছে একটি বড় অংশ। যাদের অংশগ্রহণ ও চেষ্টায় চার বছর যাবত তিনটি সম্মিলন সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি ২০২০ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে হয়ে গেল ‘এসো মিলি প্রাণের টানে’ তৃতীয়বারের মতো এই সম্মিলন এবং প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সংবর্ধনা।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সম্মিলন এবং কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের বক্তৃতা। দিনব্যাপী সে আয়োজনে সংগীত, নাটক ও আবৃত্তি আলোচনা নিয়ে সারা দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয় মূলত হাসান আজিজুল হকের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে। প্রথম আয়োজন হয়েছিল দিনব্যাপী ২ ডিসেম্বর ২০১৬ সামরিক জাদুঘর চত্বরে ‘দি এন্ট্রান্স’ রেস্টুরেন্টে। সকলে মিলে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া ‘এসো মিলি প্রাণের টানে’-এর তিনটি ভাগ ছিল ও ১ম অংশে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান সাংস্কৃতিকচর্চা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি’ নিয়ে আলোচনা ও বেশ কিছু বিষয় নির্ধারণ করা হয়। মতবিনিময় ও আলোচনা পর্বে মতিহারের সাবেক কর্মীদের পক্ষ থেকে লেখক দীপু মাহমুদ আলোচনা সমন্বয় করেন। শুরুতে কর্মী সম্মিলনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ধারণা উপস্থাপন করেন সৈয়দ আপন আহসান। এই আলোচনা সাপেক্ষে আগামীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার কথা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী ড. আজম শান্তনু, কামাল আহমেদ, মোস্তাগিসুর বাবু প্রমুখ।

আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম। সম্মিলিত সংগীতের পরপরই প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী লাইসা আহমেদ লিসার চমৎকার পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তারপর মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। তার হাতে ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রশংসাপত্র। আনজীর লিটনের লেখা প্রশংসাপত্র পাঠ করে শোনান মাসকুরে সাত্তার কল্লোল। প্রারম্ভিক বক্তৃতায় আয়োজকদের পক্ষে সৈয়দ আপন আহসান কর্মী সম্মিলনীর নানাদিক তুলে ধরেন। সম্মিলনে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অসম্ভব সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় বলেন, ‘প্রবল নিষ্ঠা, ত্যাগ, একাগ্রতা, সততা, মনোযোগ সব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে আমাদের নিয়ে যেতে পারে নিশ্চিত লক্ষ্যে’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close