দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই তিনি দেশ, দেশের মানুষের জন্য নানা ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। শুধু একজন ভালো অভিনেতা হিসেবে নাটক সিনেমায় অভিনয় করেই নিজের দায়িত্ব শেষ করেননি। একজন গুণী অভিনেতা হিসেবে দেশের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি কাজ করেছেন নিরলসভাবে, বিনা স্বার্থে। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও চঞ্চল চৌধুরী সচেতনতামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ৯-১০ বছরের কম বয়সি শিশুকে হাম ও রুবেলার টিকা দিতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য ইউনিসেফের এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। বাংলাদেশের সরকারের সহযোগী হয়ে ইউনিসেফ এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে এই জনসচেতনতামূলক কাজটির নির্মাণে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার দিনব্যাপী রাজধানীর বনানীর একটি স্কুলসহ আরো বেশ কিছু জায়গায় শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এটি নির্মাণ করেছেন ‘হাসিনা-এ ডটারস টেইল’খ্যাত নির্মাতা পিপলু।

শিশুদের জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে এই কাজে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি আসলে সব সময়ই জনসচেতনতামূলক কাজ করার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগেও নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ সচেতনতামূলক একটি কাজ করেছি। এটি নির্মাণ করেছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় আফজাল হোসেন ভাই। এবার শিশুদের সচেতনতার জন্য কাজ করেছি। আমিও একজন সন্তানের বাবা। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুস্থতার জন্য যেমন আমি সচেতন। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্যও আমি সচেতন। তাই শিশুদের অভিভাবকদের সচেতন করতেই আমি এই সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। আর পিপলুর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটি করে আমার খুবই ভালো লেগেছে।’

চঞ্চল চৌধুরী জানান, শিগগিরই তার এই জনসচেতনতামূলক কাজটি দেশের প্রায় সবগুলো টিভি চ্যানেলে একযোগে প্রচারে আসবে।

এদিকে টানা দুটি সিনেমার কাজ শেষে গেল এক মাস চঞ্চল চৌধুরী নিজের মতো করে পরিবারকে সময় দিয়েছেন। তার এক বোন অসুস্থ, তার জন্যও সময় দিতে হয়েছে তাকে। আবার নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘চঞ্চল চৌধুরী অফিশিয়াল’-এর জন্যও সময় দিয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ইমরাউল রাফাত পরিচালিত ‘বিষয়টি পারিবারিক’ ধারাবাহিকটির প্রচার শেষ হয়েছে। প্রচার চলছে আরো তিনটি ধারাবাহিকের। ধারাবাহিকগুলো হচ্ছে এজাজ মুন্নার ‘শহরালী’, আকরাম খানের ‘কালের যাত্রা’ ও সকাল আহমেদের ‘ভদ্রপাড়া’।

"