বাংলাদেশের সিনেমার গানের একসময়ের বরেণ্য সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবীর সঙ্গে সৈয়দ আবদুল হাদীর সম্পর্কটা ছিল বন্ধুত্বের। যে কারণে মাহমুদুন্নবীর দুই যোগ্য উত্তরসূরি ফাহমিদা-সামিনা সৈয়দ আবদুল হাদীকে চাচা বলেই অভিহিত করতেন। ফাহমিদা-সামিনাকেও সৈয়দ আবদুল হাদী ভীষণ স্নেহ করেন। সেই প্রিয় মানুষ আবদুল হাদীর জন্য একটি গানের সুর করতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ফাহমিদা নবী। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ‘জীবনের জয়গান’-এর প্রজেক্টের ‘আমি কেমন করে ভুলি’ গানটি সৈয়দ আবদুল হাদীকে দিয়ে গেয়েছেন। গানটির সুর করেছেন ফাহমিদা নবী এবং সংগীতায়োজন করেছেন ফাহমিদারই ছোট ভাই পঞ্চম। গেল মঙ্গলবার চ্যানেল আইয়ের একটি স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গানটি প্রসঙ্গে সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, ‘ফাহমিদার সুরে প্রথম গান গাইলাম। আমার কথা ভাবনায় রেখেই ফাহমিদা বেশ ভালো সুর করেছে। গানটির কথাও আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার বিশ^াস গানটি শ্রোতা-দর্শকের ভালো লাগবে।’ ফাহমিদা নবী বলেন, ‘হাদী চাচা তো আমার আব্বার বন্ধু ছিলেন। তাই তিনি যখন গান গাইছিলেন আমি তখন কেঁদে ফেলেছিলাম। কারণ হাদী চাচার মধ্যে আমি আব্বার আদরমাখা গন্ধটা পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন আব্বাই গান গাইছিলেন। সব মিলিয়ে আসলে এতটাই মিশ্র অনুভূতি ছিল যে, আমি ভীষণ আবেগী হয়ে উঠেছিলাম। সত্যি বলতে কী কিছু সময়ের, কিছু সান্নিধ্যের ব্যাখ্যা হয় না, তুলনা হয় না। মঙ্গলবার রাতের হাদী চাচার গান রেকর্ডিংয়ের সময়টা সত্যি এমনই একসময় ছিল। ধন্যবাদ হাদী চাচাকে গানটিতে কষ্ট করে ভয়েজ দেওয়ার জন্য। আমি কৃতজ্ঞ।’ ফাহমিদা নবী জানান, ‘জীবনের জয়গান’-এর প্রজেক্টটির সমন্বয় সাধন করছেন রাফি হোসেন ও বিটপি দাস। এদিকে গেল সেপ্টেম্বরে সৈয়দ আব্দুল হাদী আমেরিকাতে টানা বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন। আপাতত দেশে কোনো স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা নেই তার।

এদিকে সম্প্রতি ফাহমিদা নবীর উপস্থাপনায় নিউজ টোয়েন্টি ফোর-এ প্রচার শুরু হয়েছে ‘ফাহমিদা নবীর সঙ্গে গান ও আড্ডা’ বিষয়ক অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানটি প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টায় প্রচার হয়।

"