বিনোদন প্রতিবেদক

  ২০ জুলাই, ২০১৯

প্রিয়দর্শিনী সম্মাননায় মৌসুমী শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার আয়াশের হাতে

জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমীকে অনেক আগে থেকেই প্রিয়দর্শিনী নামে বিশেষায়িত করা হয়ে আসছে। কিন্তু তার এই বিশেষ বিশেষণটিকে বিশেষভাবে এত দিন সাংগঠনিক কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এবারই প্রথম সাঁকো টেলিফিল্ম স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-এ মৌসুমীকে ‘প্রিয়দর্শিনী সম্মাননা’য় ভূষিত করা হলো। গেল বৃহস্পতিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে সাঁকো টেলিফিল্মের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রনায়িকা, চলচ্চিত্র পরিচালক মৌসুমীকে প্রিয়দর্শিনী সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, পরিবেশক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গায়িকা রুনা লায়লা। মূলত তারা দুজনই ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। মৌসুমীর হাতে প্রিয়দর্শিনী সম্মাননা যখন তুলে দেওয়া হয়; তখন হলভর্তি অতিথির মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। এমন সম্মাননা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মৌসুমী।

প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, ‘প্রিয়দর্শিনী বিশেষণটি শ্রদ্ধেয় প্রয়াত সাংবাদিক আওলাদ ভাইয়ের দেওয়া ছিল। এরপর থেকে আমাকে নিয়ে সংবাদ লেখার ক্ষেত্রে আমার সাংবাদিক ভাই-বোনেরা প্রিয়দর্শিনী বিশেষণটির ব্যবহার শুরু করেন। আমার ফ্যান, ফলোয়ার্সরাও এই বিশেষণ ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু প্রিয়দর্শিনী সম্মাননায় এভাবে সাংবাদিক অভির উদ্যোগে সাঁকো টেলিফিল্ম আমার দুজন শ্রদ্ধার ব্যক্তিত্ব কর্তৃক ভূষিত করবে, তা আমার কল্পনাতেও ছিল না। সত্যিই প্রিয়দর্শিনী বিশেষণটি যেন আজ পরিপূর্ণতা পেল। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সাঁকো টেলিফিল্মকে।’

এদিকে গেল বছর ঈদে শিহাব শাহীনের নির্দেশনায় ‘বিনি সুতোর টান’ নাটকে এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর ছেলে জায়ান ফারুক আয়াশ অপূর্বরই ছেলের চরিত্রে অভিনয় করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন। অল্প বয়সেই অসাধারণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ আয়াশের হাতে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময়ে আয়াশের সঙ্গে ছিলেন আয়াশেরই মা নাজিয়া হাসান অদিতি। শুটিংয়ে থাকায় অপূর্ব তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে ছেলের জীবনের প্রথম পুরস্কার প্রাপ্তি এবং প্রথম পুরস্কার বরেণ্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও রুনা লায়লার কাছ থেকে গ্রহণ করায় আয়াশের মা অদিতি ভীষণ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। শ্রেষ্ঠত্বর পুরস্কার হাতে নিয়ে আয়াশ চুপচাপ বসেছিল।

অদিতি বলেন, ‘আয়াশ তার পুরস্কারটি হাতে পেয়ে চুপচাপ বসেছিল। আয়াশ যেমন খুশি, তারচেয়েও বেশি খুশি তার বাবা,

আমি এবং আমাদের পরিবার। সাঁকো টেলিফিল্মের প্রতি আমাদের পরিবার কৃতজ্ঞ। সবাই আয়াশের জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাকে সুস্থ রাখেন, মানুষের মতো মানুষ যেন হতে পারে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close