বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৪ মে, ২০১৯

মায়ের কবরেই চিরশায়িত খালিদ হোসেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুলসংগীতশিল্পী, গবেষক ও স্বরলিপিকার খালিদ হোসেনকে তার কুষ্টিয়ার বাড়িতে মায়ের কবরেই চিরশায়িত করা হয়েছে। গতকাল ফজরের নামাজের পর রাজধানীর তাজমহল রোডের বাইতুল আমান মসজিদে গুণী এই শিল্পীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ১০টায় রাজধানীর নজরুল ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় জানাজা শেষে খালিদ হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়ায়। সেখানে জানাজা শেষে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়। খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ এ তথ্য জানিয়েছেন। আসিফ বলেন, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাইতুল আমান মিনা মসজিদে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর সকাল ১০টায় বাবার মরদেহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে বেলা ১১টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হয়। এরপর কুষ্টিয়ায় কোর্টপাড়ার উদ্দেশে রওনা হই। সেখানে দাদির কবরেই বাবাকে সমাহিত করা হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই হার্ট, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন খালিদ হোসেন। গত ৪ মে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খালিদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া খালিদ হোসেনে দেশভাগের পরে পরিবারসহ বাংলাদেশে স্থায়ী হন তিনি। সংগীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সব মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলগীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০০ সালে খালিদ হোসেন একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি পান নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close