সুস্থ চলচ্চিত্র আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ খসরু মারা গেছেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

অনেকদিন ধরেই মুহম্মদ খসরু শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছিলেন। গেল মাসে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরের বাড়ি থেকে ঢাকায় আনা হয়। ভর্তি করা হয় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিসিইউতে ভর্তি করেন।

মাঝখানে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে হাসপাতাল ছাড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি তার।

এদিকে জানা গেছে, একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে মুহম্মদ খসরুর ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মরদেহে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ২০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা কিংবা টিএসসিতে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ নেওয়া হবে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ সমাহিত করা হবে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরের মোহনপুরে।

এদিকে মুহম্মদ খসরু সুস্থ চলচ্চিত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পত্রিকা ‘ধ্রুপদী’ ও ‘চলচ্চিত্র’ এর সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতাও তিনি। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা রাজেন তরফদারের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘পালঙ্ক’-এর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ঋত্বিক ঘটকের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলেন সত্তরের দশকে। যা ‘ধ্রুপদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে এই সাক্ষাৎকারটি উপমহাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় পুনর্মুদ্রণ হয়েছে।

"