বিনোদন প্রতিবেদক
সফল নাট্যপরিচালক আল হাজেন
আল হাজেন এ সময়ের একজন সফল নাট্যপরিচালক। তার নির্দেশনায় একবার যে শিল্পীই কাজ করেছেন, তারাই তার কাজের ভক্ত হয়েছেন। তার পুরো ইউনিটের ভক্ত হয়েছেন। নাটকের ইন্ডাস্ট্রিতে একজন পরিচালকের এমন সুনাম খুব সহজে তৈরি হয় না। অনেক শ্রম, কষ্ট আর সাধনার পরই একজন নাট্যপরিচালকের এমন খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। আল হাজেন নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলেছেন বিধায় নির্মাতা হিসেবে তার প্রশংসা রয়েছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে গুরুও বিশেষ ভূমিকা রাখে। আল হাজেনের গুরু হচ্ছেন গুণী নাট্যনির্মাতা কায়সার আহমেদ। তার সহকারী হিসেবে দীর্ঘ এক যুগ কাজ করেছেন। তারই সাহচার্য্য পেয়েছিলেন বিধায় আল হাজেন নিজেকে তার মতো করেই গড়ে তুলেছেন। কায়সার আহমেদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করাকালীন সময়েই আল হাজেন ২০০৪ সালে প্রথম একটি খ-নাটক তৈরি করেন। নাটকের নাম ‘মামার বিয়ে’। এতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আবুল হায়াত। ২০০৮ সালে পুরোদমে নাটক নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সে বছর ‘দশ হাজার এক টাকা’ ধারাবাহিক নাটকটি নির্মাণ করে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। প্রায় পাঁচ মাস আগে আরটিভিতে প্রচার শেষ হয়েছে তার নির্দেশিত সবচেয়ে আলোচিত ধারাবাহিক নাটক ‘অলসপুর’। ১০৫৬ পর্ব পর্যন্ত আল হাজেন এই ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেন। তার নির্মিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটক হচ্ছে ‘লড়াই’, ‘দুই টাকার বাহাদুরী’, ‘পড়শী বাড়ি’, ‘শিয়াল প-িত’। বর্তমানে তার নির্দেশিত দুটি ধারাবাহিক নাটক ‘ভবঘুরে’ একুশে টিভিতে এবং ‘সুখের ভিতর অসুখ’ এটিএন বাংলায় নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। নড়াইলের ছেলে আল হাজেন বড় হয়েছেন খুলনায়। তার স্ত্রী শাহীনা এবং দুই সন্তান নওমী ও সাজিদ। বর্তমানে নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে আল হাজেন বলেন, ‘এখন বাজেটের কারণে মনের মতো করে নাটক নির্মাণ করা যায় না। বাজেট একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। তারপরও নির্মাতারা চেষ্টা করেন নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে ভালোভাবে যতœ নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করার। এ ক্ষেত্রে আমি নির্মাতাদের মেধার প্রশংসা করবই। কারণ নিজের মেধা দিয়ে নির্মাতারা অল্প বাজেটে নাটক নির্মাণ করছেন। তবে অবশ্যই বাজেট বাড়ালে আরো ভালো মান সম্পন্ন নাটক আমরা দর্শককে উপহার দিতে পারতাম।’ আগামী ৪ ও ৫ আগস্ট আল হাজেন অহনাকে নিয়ে ‘যেই লাউ সেই কদু-টু’ নির্মাণ করবেন।
"