বিনোদন প্রতিবেদক
টুনির মতো চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন শশী
২০০৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল শারমীন জোহা শশী অভিনীত কোহিনূর আক্তার সূচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রটি। এই চলচ্চিত্রে টুনি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দারুণ সাড়া ফেলেছিলেন শশী। এটি ছিল তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। অনেকেই মনে করেছিলেন শশীও হয়তো টুনি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। অবশ্য তাতে শশীর মন খারাপ হয়নি। কারণ, টুনি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তখন থেকে এখন পর্যন্ত দর্শক তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন। শশী বলেন, ‘হাজার বছর ধরে’ মুক্তি পেয়েছে আজ থেকে এক যুগেরও আগে। কিন্তু দর্শক এখনো টুনি চরিত্রকে মনে রেখেছেন। আমি এখনো বিভিন্ন জায়গায় শুটিংয়ে গেলে টুনি চরিত্রের জন্য সাড়া পাই, দর্শক আগ্রহ নিয়ে টুনির কথা বলেন। এই যে ভালোবাসা, এই যে প্রাপ্তি এটা পুরস্কারের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। টুনির মতো চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পেলে আমি চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই, আরো অনেক বেশি নিবেদিত হয়ে আমি কাজ করব। কিন্তু বিগত এক যুগেরও বেশি সময়ে এই ধরনের চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব আসেনি। তাই এই ধরনের চলচ্চিত্রেও আমাকে দেখা যায়নি। আমি এখনো শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা জানাই সূচন্দা ম্যাডামকে। কারণ, তিনি আমাকে অভিনয়ের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন, যা পরবর্তীতে অভিনয়ে আমার পথচলায় অনেক কাজে লেগেছে। তবে ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্র মুক্তির পর শশীকে দেখা গেছে খিজির হায়াত খানের ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ চলচ্চিত্রে। এতে শশী বীরজায়া মিলি রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। শফিকুল ইসলাম ভৈরবী পরিচালিত ‘শোয়া চাঁন পাখি’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও শুরু করেছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন শুটিংও হয়েছিল। কিন্তু পরিচালকের মৃত্যুতে আটকে যায় এর কাজ। আবার টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে মোরশেদুল ইসলামের নির্দেশনায় ‘বৃষ্টির দিন’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করেছিলেন শশী। কিন্তু সেটাও দু-তিন দিন শুটিং হয়ে স্থগিত হয়ে যায়। শারমীন জোহা শশীকে গত ঈদে রাজু খানের ‘ইংলিশ টিচার’, মুসাফির রনির ‘অপেক্ষা’ ও ‘ইচ্ছেপূরণ’ নাটকে অভিনয়ে দেখা যায়।
"