বিনোদন ডেস্ক
ঋণের ভারে জর্জরিত ছিলেন জ্যাকসন
পপ মিউজিকের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসন। গানে-নাচে বিশ্বজোড়া ছিল তার খ্যাতি। ২০০৯ সালের ২৫ জুন জননন্দিত এই শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন। তার অকালমৃত্যুতে পৃথিবীজুড়ে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। তবে তার ভক্তরা জ্যাকসনের মৃত্যুকে আজও মেনে নিতে পারেননি। তাদের অভিযোগ, মাইকেল জ্যাকসন ষড়যন্ত্রের শিকার। আর এই এত বছর পরও এই কিংবদন্তীর মৃত্যু নিয়ে ওঠে নানা আলোচনা ও বিতর্ক। সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি স্টার এই গায়কের মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ করেছে নতুন খবর। জানিয়েছে, শেষ দিনগুলোতে প্যারানয়েড নামের এক মানসিক অসুখে ভুগছিলেন এই গায়ক। এ সময় তিনি ভয় পেতেন যে, কেউ হয়তো তাকে খুন করে ফেলতে পারে। মাইকেলের সাবেক এক দেহরক্ষীর বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। মাইকেল সবচেয়ে বেশি ভয় পেতেন বড় ধরনের জনসমাবেশ। এজন্য শেষ দিকের কনসার্টগুলোতে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে মঞ্চে উঠতেন। ভাবতেন ভিড়ের মধ্যে হয়তো কেউ তাকে খুন করতে পারে। এই ভয় সর্বদা জ্যাকসনকে আচ্ছন্ন করে রাখত। জ্যাকসনের সেই দেহরক্ষীর নাম ম্যাট ফিদেস। শেষ দিনগুলোতে ‘থ্রিলার’ গায়কের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন তিনি। তার মতে, বিভিন্ন রকম ওষুধের ওভারডোজের কারণেই এমন অদ্ভুত মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতেন জ্যাকসন। যদিও এসব কথা বেশ খোলাখুলিভাবেই বলতেন ফিদেসকে। মাইকেল জ্যাকসনকে তিনি সর্বশেষ স্বাভাবিক দেখেছেন লন্ডনে। সেটাও মৃত্যুর অল্প কয়দিন আগে। সেদিন তাকে সঙ্গে নিয়েই ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অলিভার’ ছবিটি দেখেন জ্যাকসন। সিনেমা দেখা শেষে গোটা লন্ডন ঘুরে দেখেছিলেন তিনি, খেয়েছিলেন নিজের পছন্দের খাবার।
মাইকেল জ্যাকসনকে আরেকটি উল্লেখ্য তথ্য হলো, মৃত্যুর সময় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণে জর্জরিত ছিলেন জ্যাকসন। অনেকের ধারণা, তার মৃত্যুর জন্য এটিও একটি অন্যতম
কারণ।
"