বিনোদন প্রতিবেদক
ঘর ভাঙল তাসনুভা তিশার
বাংলাদেশের শোভিজ জগতে গত বছর থেকে তারকাদের ঘর ভাঙার যে হিড়িক পড়েছে, তা যেন আর থামতেই চাচ্ছে না। এবার সেই মিছিলে শরিক হলেন মডেল অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। ঈদের আমেজ কাটতে না কাটতেই শোনা গেল তিশার সংসার ভাঙার খবর। ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে বিয়ে করেছিলেন তিশা ও ফারজানুল হক। ফারজানুল হক পেশায় একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ম্যানেজার। তাদের ঘরে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের আগে তাসনুভা ও ফারজানের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। অথচ সংসার জীবনের তিন বছর পেরিয়ে যেতে না যেতেই তাদের সংসারে নেমে আসল এ পরিণতি।
নিজের ডিভোর্সের কথা স্বীকার করে তাসনুভা তিশা বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অনেকেই আমার কাছে জানতে চাইছে এবার ঈদে কেন আমার এত কম কাজ। তো সবাইকে আমি কিছু সত্য বিষয় জানাতে চাই। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের ডিভোর্সের লিগ্যাল ফরমালিটিজ শেষ হয়েছে এবং গত ছয় মাস আমি প্রচ- মানসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ইনফ্যাক্ট আমি কয়েক মাস আগে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং হসপিটালাইজড হই। আর এসব সিচুয়েশনের জন্য অনেক কাজ করতে পারিনি। কারো সঙ্গে কন্টাক্টও করতে পারিনি।’
তিশা আরো লিখেছেন, ‘কষ্টের বিষয় হচ্ছে আমার এ দুরবস্থার কারণ একেকজন একেকভাবে চিন্তা করে সেটাকে নিয়ে নিজেদের মতো মিসইন্টারপ্রিট করেছে। আমার ডিভোর্সের কারণ একেবারেই আমাদের নিজস্ব কিছু ইস্যুজ। এখন আমি নতুন করে ভালোভাবে কাজ শুরু করতে চাই। আর আমার ছেলে যেন তার মায়ের কাছ থেকে ডিপ্রাইভ না হয় সেটা নিশ্চিত করব। ইনশাআল্লাহ নেক্সট ঈদে ভালো ভালো কাজ আপনাদের দিতে পারব। দোয়া করবেন।’
২০১৬ সালে সংসার জীবন নিয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাসনুভা তিশা বলেছিলেন, ‘আমার স্বামী আমাকে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। তাই এখন পর্যন্ত ভালোমতো মিডিয়ায় কাজ করতে পারছি। আসলে অনেকেই মিডিয়ায় কাজ করলে স্বামী-সন্তানের কথা লুকিয়ে রাখে। তারা মনে করে মিডিয়ায় তাদের কাজের মধ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আমি আমার স্বামী-সন্তান নিয়ে মিডিয়ায় কাজ করায় গর্ব করি।’ ফারজানুল ও তাসনুভার একমাত্র ছেলের নাম আনুশ। সে বর্তমানে বাবার কাছে আছে। ফারজানুলের সঙ্গে বিয়েটি ছিল তাসনুভার দিক থেকে দ্বিতীয়। আগের ঘরে ঐশী নামের এক মেয়ে আছে তার।
"