গত মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ। গতকাল বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বানানী কবরস্থানে বাবার কবরেই তাজিনকে সমাহিত করা হয়েছে। প্রিয় শিল্পীর অকালমৃত্যুতে শোকগ্রস্ত তার ভক্ত ও সহকর্মীরা। তার এই প্রস্থান কেউই মেনে নিতে পারছেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছেয়ে গেছে তাজিন আহমেদের ভক্ত-সহকর্মীদের শোক প্রতিক্রিয়ায়। ফেসবুকে প্রিয় অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখেছেন অনেকেই। তাদের সেসব প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন তুহিন খান নিহাল-
তাজিন আহমেদের মৃত্যুতে তারকাদের শোক
অভিনেত্রী তারিন
‘তাজিন তোর কষ্টের জীবনের অবসান হলো। তোকে আল্লাহ অনেক ভালোবাসেন রে, তাই অনেক তাড়াতাড়ি এই নির্মম পৃথিবী থেকে পবিত্র রমজান মাসে তোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে মুক্তি দিলেন। এবার তুই অনেক শান্তিতে থাকবি। আমরা তোর জন্য কিছুই করতে পারিনি। রেস্ট ইন পিস বন্ধু...’
নাট্যকার মাসুম রেজা
নিজের সঙ্গে একটি হাসির ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেনÑএই মিষ্টি হাসিটা তাজিন আর হাসবে না... ও চলে গেছে আমাদের ছেড়ে... হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে তাজিন... ভালো থেকো তাজিন...
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী
এমন কি কথা ছিল? আমার প্রচারিত প্রথম নাটক এক জীবনের অভিনেত্রী।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী
এভাবেই হারিয়ে গেলে তাজিন আপু...
ভালো থেকো ওপারে...
আমরা আসলে তোমার জন্য কিছুই করতে পারিনি...
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ
আহা তাজিন আপু... এভাবে চলে গেলেন? আর পারলেন না তাই না? আর পারা গেল
না।
নির্মাতা গোলাম সরওয়ার দুদুল
ভালো থেকো তাজিন। অনেক অনেক প্রার্থনা... শান্তি কামনা তোমার জন্য।
অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা
মাগরিবের নামাজের পর আকাশ সব সময়ই কেমন যেন বিষণœœ হয়ে থাকে। আজকে মনে হচ্ছে আরো বেশি বিষণœœ। বিদায় তাজিন আপা। আল্লাহ আপনাকে শান্তি দান করুন।
চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খান
এমন মৃত্যু আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হয়। আল্লাহ আপনাকে বেহেশত
নসিব করুন...
অভিনেতা রওনক হাসান
‘অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। (হার্ট ফেইলর থেকে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক এটাক) ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
জাকিয়া বারী মম
‘সত্যিই তাজিন আপু ভালো লাগা মুহূর্তগুলো সব সময় স্মৃতি হয়ে যায়।
অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর
হায় জীবন! অনাদরে, অবহেলায় সবুজ-সতেজ জীবন শুকিয়ে যায়...
অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ
একটু আগে যখন তোমার গালে হাত বোলাচ্ছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল তুমি জেগে উঠবা। বলবা সর যাহ ঘুমাইতে দে। শুটিংয়ে তো যখন ঘুমাইতা, উঠে যাইতা, এখন তো উঠ না আপু।
তোমার নরম গালে শেষবারের মতো হাত বোলালাম, বিশ্বাস হচ্ছে না। এত কষ্ট মনে নিয়ে চলে যাওয়া উচিত হয় নাই তাজিন আপু। হাঁসের মাংস খাইতে পারলাম না...
ভালো থাইকো যেখানেই থাক।
সোমনুর মনির কোনাল
‘ভালো থেকো তাজিন আপু। এই পৃথিবী তোমাকে শান্তি দিতে পারেনি। ওপারে বেহেশতের বাগান আল্লাহতায়ালা তোমাকে যেন দেন। আমিন।
অনিমেষ আইচ
‘মরে গেলেই আহা...উহু!! বেঁচে থাকতে কেউ পুছে না। ঈদ নাটক মানেই সব টাকা দিয়ে একটা মোশারফ করীম, জাহিদ হাসান, অপূর্ব এবং স্টার কাস্ট কিনতে হবে। মরে গিয়ে বেঁচে গেলেন তাজিন। একজন শিল্পীর অপমৃত্যুর জন্য আমরাই দায়ী। সামনে অকালমৃত্যুর দীর্ঘ সারি।
মাসুমা রহমান নাবিলা
‘ভালো থেকো তাজিন আপু’।
"