বিনোদন প্রতিবেদক
‘সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে’
এবারের লাক্স সুন্দরী জাবি চারুকলার ছাত্রী মিম মানতাসা। সেই সুবাদে এবার তিনি অভিনেত্রী মম, মিম ও মেহজাবিনদের সঙ্গে একই কাতারে শামিল হলেন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন একটি নতুন গাড়ি ও পাঁচ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশে লাক্সের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার সুযোগ। আরো রয়েছে বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুবর্ণ সুযোগ। এ ছাড়া নাটক, সিনেমা ও টেলিছবিতে অভিনয়ের সুযোগ তো আছেই।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় চ্যানেল আই প্রেজেন্টস লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনাল। সেখানেই বিচারকদের নম্বর, দর্শকদের ভোট ও আগের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে মানতাসাকে পরিয়ে দেওয়া হয় বিজয়ীর মুকুট। পরে নিজের নিজের অনুভূতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পাবনার মেয়ে মিম মানতাসা।
তিনি বলেন, অসাধারণ একটি অনুভূতি, যা কয়েকটি বাক্য দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এটি অনেক বড় পাওয়া। সত্যিই আবেগ প্রকাশের শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। সফলতাটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হবে সেটি হয়তো আমি এখন গুছিয়ে বলতে পারব না। তবে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন আমার প্রধান লক্ষ্য। এই অর্জন মাকে উৎসর্গ করবেন বলে লাক্স সুন্দরী মানতাসা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের সাপোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, চার ভাই-বোনের মধ্যে আমি তৃতীয়। বড় দুই বোন ও বাবা-মা আমাকে নিয়ে খুব টেনশন করেন। আমি কখনো বাসার বাইরে থাকিনি। প্রতিযোগিতার কারণে আমাকে ক্যাম্পে থাকতে হয়েছে। এ জন্য পরিবারের সদস্যরা শুরুতে আমাকে তেমন সাপোর্ট করতেন না। সবাই ভাবতেন আমি হয়তো পারব না। তবে যখন প্রতিযোগিতার পর্বগুলো টিভিতে প্রচার শুরু হলো এবং বেশ কয়েকটি পর্বে আমি খুব ভালো পারফর্ম করলাম। তখন থেকে পরিবারের সবাই আমাকে সাপোর্ট করা শুরু করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শেষ বর্ষের ছাত্রী মানতাসা। প্রতিযোগিতায় এসে পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না-জানতে চাইলে বলেন, আসলে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। প্রতিযোগিতার জন্য ক্যাম্পে থাকা অবস্থাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছি। তেমন জটিলতায়
পড়তে হয়নি।
"