বিনোদন প্রতিবেদক
কক্সবাজারে শুটিং জটিলতার অবসান!
কক্সবাজার সৈকতে শুটিংয়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন-সংক্রান্ত জটিলতায় বহু নির্মাতাকে ভুগতে হয়েছে। দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় শুটিং লোকেশন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে শুটিং সংশ্লিষ্টদের কাছে এমন অভিজ্ঞতা বলতে গেলে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। শুটিংয়ের জন্য আগাম অনুমতি না নেওয়ায় অনেক নির্মাতাকে জটিলতায় পড়তে হয়েছে। তবে এবার এসব তিক্ততার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। টিভি নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক এমনটাই জানান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার ডিসি অফিসে গিল্ডের পক্ষ থেকে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, এখন থেকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে অনলাইনের মাধ্যমে গিল্ডের সদস্যরা শুটিংয়ের অনুমতি নিতে পারবেন। এর জন্য কাউকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে হবে না। কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করে এ অনুমতি সহজেই পাওয়া যাবে।
ওই দিন বিকেলে কক্সবাজার ডিসি অফিসে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এ বৈঠকে তিনি ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সহসভাপতি সৈয়দ শাকিল, প্রচার সম্পাদক পিকলু চৌধুরী, সদস্য সাখাওয়াত মানিক এবং টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্য মোহন খান। এতে কক্সবাজার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিলেন ডিসি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, এডিসি কাজী আবদুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় ও পর্যটন পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি ফজলে রাব্বী।
বৈঠকে আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। জানানো হয়, শুটিংয়ের জন্য আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ অনলাইনে অনুমোদন দেবে। প্রতিদিন শুটিং ফি বর্তমানে ১০ হাজার থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র দুই হাজার টাকায়।
এ ছাড়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শুটিং লোকেশনে গিয়ে গিল্ডের আইডি কার্ড সঙ্গে রাখা নির্মাতার জন্য বাধ্যতামূলক। যে কার্ড প্রদর্শন করলে প্রশাসনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবেন নির্মাতরা। আগামী ১৫ মে থেকে এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
"