বিনোদন ডেস্ক
‘দ্য থিওরি অব এভরিথিং’
পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আর নেই। গত বুধবার সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু বিশ্বব্যাপী এক বিরাট ক্ষতি; যা সহজে পূরণ হবার নয়।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন হকিং। ওইসময় একটি অনুষ্ঠানে তার পরিচয় হয় সাহিত্যের ছাত্রী জেনের সঙ্গে। সে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, অতঃপর প্রেম। তারপর হঠাৎ করেই ‘মোটর নিউরন’ নামে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন হকিং। তখন তার বয়স মাত্র ২১ বছর। দুরারোগ্য এই রোগে কিছুদিনের মধ্যেই মারা যাবেন তিনি। চিকিৎসকদের এমন ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে হকিং এরপরও বেঁচে ছিলেন ৭৬ বছর। হকিংয়ের এমন কঠিন রোগের কথা জানার পরও প্রেমিকা জেন তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু এই অবস্থায় প্রেমিকার কাছ থেকে পালাতে চেয়েছিলেন হকিং। শেষে প্রেমিকার ভালোবাসার জন্যই তাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পরে তাদের একটি সন্তান হয়। তবে ১৯৯৫ সালে হকিং-জেনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কিন্তু তাদের ভালোবাসার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘দ্য থিওরি অব এভরিথিং’। পরিচালনা করেছেন জেমস মার্শ। জেন হকিং রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ট্র্যাভেলিং টু ইনফিনিটি: মাই লাইফ উইথ স্টিফেন’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবিটি। ১২৩ মিনিটের এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অ্যান্থনি ম্যাককার্টেন। ছবিটিতে স্টিফেন হকিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন এড রেডমাইন। জেন হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন ফেলিসিটি জোনস। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে।
"