সজীব রেদোয়ান
শাকিব-অপুর সংসার টিকবে তো?
ঢাকার বিনোদন জগতে কয়েক দিন ধরেই ঘুরেফিরে আসছে একই প্রশ্ন। শাকিব-অপুর সংসার টিকবে তো? সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ পাচ্ছে এ বিষয় নিয়ে অনেক খবর। এতে তাদের ভক্ত-অনুরাগীরাও আছেন প্রচÐ দ্বিধাদ্বন্দে। আসলে এই খবরের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। তবে আপাতত স্বস্তি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন।
তিনি একটি গণমাধ্যমকে জানান, শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ এখনো কার্যকর হয়নি। বরং তাদের হাতে এখনো ১৮ দিন সময় আছে। এর মধ্যে অনেক কিছুই হতে পারে।
হেমায়েত হোসেন আরো বলেন, শাকিব-অপুকে নিয়ে তৃতীয় ও শেষ শুনানি হবে ১২ মার্চ। মূলত সেদিনই চ‚ড়ান্ত হবে, তালাক কার্যকর হবে নাকি সমঝোতায় গড়াবে।
এর আগে গত বছর ২২ নভেম্বর শাকিব খান তার আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে অপুর কাছে তালাকের নোটিস পাঠান। সে অনুযায়ী গণমাধ্যমের অনেকেই ধরে নিয়েছেন আলোচিত এই তালাক কার্যকর হচ্ছে তিন মাসের হিসাবে, অর্থাৎ ২২ ফেব্রæয়ারি। তবে শাকিব খান ২২ নভেম্বর পাঠালেও সেই নোটিস অপু বিশ্বাস হাতে পান ১২ ডিসেম্বর। ফলে চিঠি হাতে পাওয়ার দিন থেকেই তিন মাসের বিষয়টি কাউন্ট শুরু হবে। সেই হিসেবে চিঠি হাতে পৌঁছানোর ঠিক এক মাসের মাথায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ডিএনসিসি প্রথম সালিস বৈঠকের আয়োজন করে।
প্রথম বৈঠকে অপু উপস্থিত থাকলেও শাকিব ছিলেন অনুপস্থিত। এরপর ১২ ফেব্রæয়ারি আয়োজিত দ্বিতীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না দুজনের কেউই। সেই হিসেবে এ বিষয়ে তৃতীয় এবং শেষ বৈঠক হতে যাচ্ছে আগামী ১২ মার্চ। তবে এখনো তালাক কার্যকর হওয়া না হওয়া এবং শেষ বৈঠকে তাদের উপস্থিতির বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের ঘরে আসে পুত্রসন্তান আব্রাম খান জয়। বিয়ে এবং সন্তান জন্মের বিষয়টি গোপন থাকলেও গত বছর ১০ এপ্রিল বিষয়টি প্রকাশ করে দেন অপু বিশ্বাস। আর অপুর এই প্রকাশ্যে আসা নিয়েই শাকিব খানের সঙ্গে তার দ্ব›েদ্ব সূত্রপাত, যা শেষ পর্যন্ত গড়ায় তালাক পর্যন্ত। কিন্তু তাদের ভক্ত-অনুরাগীদের প্রত্যাশা, যেকোনো মূল্যে শাকিব-অপুর সংসার টিকিয়ে রাখতে হবে। নতুবা তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে এ দেশের চলচ্চিত্রে, যা কোনো শুভবার্তা বয়ে আনবে না।
"