সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনে ৩১ প্রার্থী নির্বাচনী মাইকিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর বঙ্গের প্রবেশ দ্বার খ্যাত সিরাজগঞ্জ এখন নির্বাচনী প্রচারণা উত্তপ্ত। ৯ উপজেলাসহ ১২ থানা নিয়ে গঠিত এই জেলায় সংসদীয় আসন সংখ্যা-৬টি। আর এই ৬ আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩১ জন। বহু প্রার্থীর আনাগোনায় এখন মুখোর কৃষি সমৃদ্ধ জনপদ। তবে প্রার্থী বেশি হওয়ায় তাদের মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নির্বাচনী এলাকা মানুষ।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের মোট ৬টি আসনের প্রার্থী সংখ্যা মোট ৩১ জন। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাসদ, স্বতন্ত্র, জাকের পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), এনপিবি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, পিডিপি এবং জামাত থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবেও প্রতিযোগীতা করছেন। মোট প্রার্থীর মধ্যে শুধু ধানের শীষ প্রতীক প্রাপ্ত ২ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন। জেলায় সর্বোচ্চ প্রার্থী রয়েছে সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনে ৭ জন এবং সর্বনি¤œ প্রার্থী আছে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনে ৩ জন। স্থানীয় ভোটার ও জনসাধারণ জানান, নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও অনেক প্রার্থীকে এখনও তাদের নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায় না।

সিরাজগঞ্জের নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী আনন্দ প্রচারণা এখন চরমে। বেড়েছে দলীয় কোন্দলসহ রাজনৈতিক সহিংসতা। নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হবার পর থেকেই ছোটখাট দূর্ঘটনা, স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

অপরদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট প্রার্থনা করে বেরাচ্ছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচনে জয়ের আশায় প্রার্থীরা গ্রামের সরল মানুষকে শুনিয়ে চলেছেন নানা মিষ্টি বুলি। নিশ্চিত পরাজয় জেনেও কোনো কোনো প্রার্থী চয়ে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। তাদের ভাষায় পদের জন্য নয় নিজেদের পরিচিত করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। নির্বাচনী আলাপের সূত্র ধরে ভীড় বেড়েছে গ্রাম বাংলার চায়ের দোকানগুলোতে। তাছাড়াও মিটিং, মিছিল, পিকেটিং সহ মাইকের উচ্চ শব্দে জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। তবে নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রসঙ্গ অনেক ভোটার প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, জেলায় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী অনেক প্রার্থীকে নামে চিনলেও এলাকায় কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু আজ তাদের লিপলেট, পোস্টারে ছেয়ে গেছে এলাকা। মাইকের শব্দে টেকা যায় না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close