মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনী হাওয়া: মানিকগঞ্জ-১

আ.লীগ-বিএনপির ভোট যুদ্ধে লড়বেন দুই ভাই

মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনে আ.লীগের প্রার্থী এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও বিএনপির প্রার্থী এসএ জিন্নাহ কবীর ভোট যুদ্ধে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করলেও তারা দুই জন সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দুইজনি সম্পর্কের চেয়ে দলকে প্রধ্যান্য দিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নিজ নিজ প্রতীকের পক্ষে ভোটারদের টানতে তারা দিন রাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

নির্বাচনকে ঘিরে এই আসনে চলছে ভোটের নানা সমীকরণ। আ.লীগের উন্নয়নের ধারাহিকতা ধরে রাখতে দলীয় নেতাকর্মী এবং হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে বিএনপির প্রার্থী নেতাকর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ভোটাদের মন জয় করতে নানা রকমের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

একই আসনে প্রধান বড় দুই দলের প্রার্থী মামাতো-ফুফাতো ভাই হওয়ায় ভোটারদের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন তারা। দুই ভাই প্রার্থী হওয়ায় ফলে ভাইয়ে ভাইয়ের লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। আ.লীগ ও বিএনপির এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ ভোটার মধ্যে চলছে নানা রকম জ্বল্পনা-কল্পনা। তবে স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, সৎ, যোগ্য, দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করবে এমন প্রার্থীকে তারা ভোট দেবেন।

আ.লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রার্থী এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘তার শাসনামলে এই আসনটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যে কারণে এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সাধারণ মানুষ নির্বাচনে নৌকার প্রতীক বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’ দুর্জয় আরো বলেন, ‘এক সময় এটি বিএনপির ঘাঁটি ছিল। তবে বিএনপির শাসনামলে এই এলাকায় কোন উন্নয়নই হয়নি। যে কারণে জনগন তাদেরকে প্রত্যাক্ষান করবে। তবে, পারিবারিক সর্ম্পক পারিবারিক সম্পর্কের জায়গায়। রাজনীতির মাঠে যার যার দলই মূখ্য। ভোটের মাঠে দুই ভাই, দেশের দুই বড় দল থেকে লড়াই করতে করছি।

অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী এসএ জিন্নাহ কবীর বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির মাঠে আতœীয়তার সর্ম্পক কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা। তাছাড়া এই আসনটি বিএনপির ঘাটি হিসেবেই পরিচিতি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিপুল ভোটে আমি জয়ী হব বলে আশাবাদি। কারণ এই আসনে কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে বলে আমার ধারণা।’

এছাড়াও এ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন (আসাদ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ.লীগের সাবেক এমপি এবিএম আনোয়ারুল হক নির্বাচন করছেন।

উল্লেখ্য, আসনটি থেকে ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এএম সায়েদুর রহমান এবং বিএনপি প্রার্থী হয়ে এই আসনে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচবার নির্বাচিত হন বিএনপি’র প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এর মাঝে জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৮৬ সালে ও ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে এবিএম আনোয়ারুল হক এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ক্রিকেট দলে সাবেক অধিনায়ক এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close