মাদারীপুর প্রতিনিধি

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

মাদারীপুর-৩

অর্ধ যুগ পর আ.লীগ-বিএনপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নতুন মুখ

মাদারীপুর-৩ (সদর ও কালকিনি) আসনটিতে আ.লীগ-বিএনপি দুই দলই এবার নতুন প্রার্থী দিয়েছে। ফলে প্রায় অর্ধ যুগ পর এমপি হিসেবে জেলা সদর ও কালকিনিবাসী পাচ্ছে নতুন মুখ। আসনিটিতে ১৯৯৬ থেকে টানা চার মেয়াদে এমপি ছিলেন আ.লীগ নেতা সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভোটারবিহীন নিবার্চনে সুযোগ বুঝে এমপি হন কৃষিবিদ ও আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম। তিনি এমপি হওয়ার পর বাহাউদ্দিন নাসিম এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে হাত দেন। উন্নয়নও করেছেন বেশ কিছু। ভেবেছিলেন এবারও ভোটে অংশ নিবেন। কিন্তু বিনাভোটের এমপি বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি হবার পর কালিকিনিতে আ.লীগের দুটি গ্রুপ তৈরী হয়। দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, সৈয়দ আবুল হোসেন এবার বাদ পড়েছেন অনেক কারনে। আর বআহাউদ্দিন নাসিম বাদ পড়েছেন বির্তক ও দলীয় গ্রুপিং এড়ানোর জন্য। কেননা দলীয় কোন্দল ও বির্তকের মধ্যে এ দুজনের যেকোন একজনকে মনোনয়ন দেয়া হলে আ.লীগের ভোট ব্যাংকের এ আসনটি জয়লাভে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এ আশংকায় দলীয় হাইকমান্ড আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক ডা. সোবাহান গোলাপকে দলের টিকেট প্রদান করেছেন। তিনি দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও নিজ এলাকায় তার জনপ্রিয়তা নেই। এ বিষয়ে সোবাহান গোলাপ নিজেই নির্বাচনী প্রচারনা ক্ষেত্রে বলেন, আমাকে না চিনলেও আপনার নৌকার প্রতীক দেখে ভোট দিলে আমি পেয়ে যাব।

অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির গণ-শিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক আলহাজ্ব আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার বিএনপি টিকেট নিয়ে এ আসনে প্রার্থী হিসাবে ভোটযুদ্ধে নেমেছে। তিনি কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসুচীতে এলাকায় এসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলছেন। তার সঙ্গে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তিনি কালকিনির প্রতিটি মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। খোকন তালুকদার বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সুখে দু:খে সবসময় পাশে থাকেন। ভোটাররা শান্তিপূর্নভাবে ভোট প্রদান করতে পারলে খোকনের সঙ্গে আ.লীগ প্রার্থী ড. সোবাহান গোলাপ এর তুমুল প্রতিদন্দিতা হবে বলে ধারণা স্থানিয়দের।

আ.লীগের ২ হেভিওয়েট প্রার্থী বাহাউদ্দিন নাসিম ও সৈয়দ আবুল হোসেন দলীয়ভাবে মনোনয়ন না পেলেও তাদেরকে ভবিষ্যতে দলের পক্ষ থেকে মুল্যায়ন করা হবে বলে দলের হাইকমান্ড থেকে আশ^াস দেয়ায় তারা দলের প্রার্থীর জন্য মাঠে থেকে কাজ করবেন এমনটা শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপির প্রার্থী ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা থাকায় নির্বাচনী প্রচারনা ব্যাহত হচ্ছে। গ্রেফতার ও পুলিশী হয়রানীর আতংকের মধ্যে চলছে বিএনপি দলীয় নির্বাচনী প্রচারনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close