হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকর্মীরা

হবিগঞ্জের ৩টি আসনে নেই বিএনপির প্রার্থী

শরীকদল গুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করতে গিয়ে হবিগঞ্জের ৩টি আসনে নেই বিএনপির প্রার্থী। যে কারনে ক্ষুব্ধ তৃণমুলের বিএনপির নেতাকর্মীরা। জোটের মনোনয়ন পাওয়া বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা চেষ্টা করেও মন গলাতে পারেনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের। ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ-৪ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ও মহসচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। হবিগঞ্জ-১ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরাম নেত ড. রেজা কিবরিয়া ধানের শীষের প্রতীক বরাদ্দ পান। এরপর তিনি প্রথমে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শেখ সুজাতের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করলেও গেইটে তালা থাকার কারনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও তাকে শেষ মুহুর্তে চুড়ান্ত মনোনয়ন না দেওয়ায় তার নিজ কর্র্মী সমর্থকরা হতাশায় ভূগছেন।

এ আসন থেকে বিএনপি নেতা শেখ সুজাত মিয়া ২০১২ সালে আ.লীগ সরকারের আমলে উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকায় প্রতিটি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে কর্মসূচি গ্রহন করে আসছিলে। একাদশ নির্বাচনে প্রথমে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, কিন্তু হঠাৎ করে রাজনীতি আসা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া গণফোরামের প্রার্থী হওয়ার কারনে হিসাব নিকাশ উল্টো যায়। হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা।

হবিগঞ্জ-২ আসনে জেল থেকে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়া হাসান জীবন। বিগত ১০ বছর ধরে এলাকায় দলকে সংগঠিত করেছেন। নির্বাচন তফশীল ঘোষনা দেয়ার কিছুদিন আগেই তাকে ঢাকার ১০টি মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ ৪২ দিন কারাবরন করে গত ১ ডিসেম্বর জামিন মুক্ত হন। এরপর এলাকায় আসার পর সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু গত ৮ ডিসেম্বর রাতে তাকে বাদ দিয়ে এ আসনে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল বাছিত আজাদকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর দাবী এলাকায় কোন দিন আব্দুল বাছিত আজাদকে দেখা যায়নি এমনকি ভোটারা তাকে চিনে না, এমন লোককে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার এখানে ধানের ধীষের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে।

হবিগঞ্জ-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের শরীকদল খেলাফত মজিলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ফলে বাদ পড়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মো. ফয়সল। এতে চুনারুঘাট ও মাধবপুর আসনের বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহমেদ আব্দুল কাদেরকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছেন। যে কারনে বিপাকে পড়েছে শরীকদল খেলাফত মজলিসের সমর্থকরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close