বরগুনা-১ আসনে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও বর্তমান এমপি এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ওপরই আস্থা রাখলেন কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল শুক্রবার সকালে দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত চিঠি হাতে পেয়েছেন তিনি। এখবর তার নির্বাচনী এলাকায় পৌছালে (আমতলী, তালতলী ও জেলা সদর) দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের মাঝে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে।

খোজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলার উল্লেখযোগ্য সব উন্নয়ন এমপি শম্ভুর মাধ্যমেই হয়েছে। তাই বর্তমান সরকার যেভাবে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় এ আসনে শম্ভুর বিকল্প নেই বলে দাবি সাধারণ ভোটারদের। এর আগে তিনি এ আসন থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি আ.লীগ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। মাঝখানে ২০০১ সালের নির্বাচনে হারলেও পরবর্তিতে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে তিনি পুন:রায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ আসনে উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন তার সময়েই হয়েছে। পাশাপাশি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তিনি জেলা আ.লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনটি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ২টি পৌরসভার মেয়র ও ২৪ ইউনিয়নের মধ্যে ২২টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রয়েছে আ.লীগের দখলে। বাকি দু’জনের একজন বিএনপি এবং অপরজন জাতীয় পার্টির। জেলার আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ.লীগের সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমতলী- তালতলী-বরগুনা সদর উপজেলা পৌরসভা মেয়রসহ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা দলীয় প্রার্থী এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। আশাকরি তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে পারব। আমতলী-তালতলী-সোনাকাটা আঞ্চলিক সড়ক, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বরগুনা আধুনিক হাসপাতাল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ইন্সটিটিউট, বরগুনা-বাকেরগঞ্জ-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কসহ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এ সংসদের আমলেই হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে বরগুনার তালতলীতে সুবিশাল জাহাজ নির্মাণ শিল্প, নৌবাহিনীর ঘাঁটি, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পায়রা ও বিষখালী নদীতে দুটি বৃহৎ সেতু, একাধিক ইকোনমিক জোনসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান রয়েছে।

এ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পুন:রায় সুযোগ দিয়েছে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে। আশাকরি এ অঞ্চলের মানুষের ভালোবাসায় নির্বাচিত হয়ে দলকে এ আসনটি উপহার দিতে পারব।’

"