ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

ফরিদপুর-১

‘বর্ধিত সভা’র নামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙছেন মনজুর

একের পর এক নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে চলছে ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনজুর হোসেন বুলবুলের প্রচারণা। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার আগে থেকেই দলীয় ‘বধিত সভা’র নামে নির্বাচনী সভা ও ভোট চাইছেন। এ নিয়ে আসনটির অন্যান্য দলের প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার নির্দেশ আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে একের পর এক নির্বাচনী সভা করে যাচ্ছেন মনজুর হোসেন। গত ১ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গায় দামুদার আখড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মনজুর হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে বক্তৃতা দেন দলের একাধিক স্থানীয় নেতা। গত ৩ ডিসেম্বর বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিশেষ বর্ধিত সভার মধ্যমণি ছিলেন প্রার্থী মনজুর হোসেন। উপজেলার বিলাসী কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সভা মঞ্চে প্রধান অতিথি মনুজর হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে আলোচনা করেন নেতাকর্মীরা।

একই ভাবে গত মঙ্গলবার বিশেষ বর্ধিত সভার নাম দিয়ে আয়োজিত সভায় নৌকার প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ। পরে মনজুর হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের বক্তৃতায় মনজুর হোসেনের পক্ষে ভোট চান।

এ ব্যাপারে মধুখালী ইউএনও মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার বিষয়টি আমাদের আগে থেকে জানানো হয়নি। জানার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থলে গিয়ে তাদের সভা শেষ করার জন্য বাধ্য করেছি। ভবিষ্যতে তারা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, এমন কাজ না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছি।’

জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, ‘এতদিন আমরা কিছু জানতাম না। মঙ্গলবার মধুখালীতে নির্বাচনী সভা করার তথ্য পেয়েছি। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনজুর হোসেন বুলবুলকে ফোনে সতর্ক করেছি। পরে তাকে লিখিত চিঠি দিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগেও মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্যের অভিযোগ রয়েছে। তিনি রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে রাষ্ট্রোত্তর ব্যাংকের গাড়ি, ড্রাইভার, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও মুঠোফোন ব্যবহার করে নির্বাচনী কাজ করছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডেইজী বেগম রেহানাও সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে স্বামীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ ও প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেয়ে। গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন কোনো ধরনের শোডাউন বা মিছিল করা নিষিদ্ধ হলেও মনজুর হোসেন কয়েকশ মোটর সাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close