এস এম মুকুল

  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

ভালোমন্দ

সমকালের কড়চা

কেন অবহেলায় গ্রন্থাগার : দেশের উন্নয়ন ভাবনায় জ্ঞান-তথ্যের সেই উৎস অর্থাৎ গ্রন্থাগারই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। অধিকাংশ গ্রন্থাগারেই পাঠকক্ষের পরিসর সন্তোষজনক নয়। অভাব রয়েছে চেয়ার-টেবিলের। অনুপস্থিত ফটোকপিয়ার, প্রিন্টার, স্ক্যানারের মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীর। সংকট আছে গ্রন্থাগারিকেরও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে বইয়ের স্বল্পতা। আর এসব নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের গ্রন্থাগারগুলো। জানা গেছে, বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে বই কেনার কোনো বাজেট থাকে না। ঢাকায় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর নতুন বই কিনে বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারে সরবরাহ করে। ৬০ শতাংশ গ্রন্থাগারেই বসার জায়গা অপ্রতুল। ২১ শতাংশ গ্রন্থাগারে এ সমস্যা প্রকট। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে রয়েছে ৭৪ শতাংশ গ্রন্থাগার। কাক্সিক্ষত মানের টয়লেট সুবিধা নেই ৪৪ শতাংশ গ্রন্থাগারে। আলাদা পাঠকক্ষেরও ব্যবস্থা নেই অনেক গ্রন্থাগারে। আর পৃথক হলরুম ও সভাকক্ষ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ লাইব্রেরি। বাংলাদেশে গ্রন্থাগার ব্যবস্থার বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা যাচাইয়ে সরকার, ব্র্যাক ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি ‘লাইব্রেরি ল্যান্ডস্কেপ অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ওই প্রতিবেদনে দেশের গ্রন্থাগার সেবার নিম্নমান ও দুরবস্থার বিষয়টি উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া অধিকাংশ গ্রন্থাগারিকই নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বই ও জার্নালসহ সব ধরনের উপকরণের ঘাটতির কথা জানিয়েছেন ৫২ শতাংশ গ্রন্থাগারিকই। জরিপে অংশ নেওয়া ৬৩ শতাংশ ব্যবহারকারীর মতে, বাংলাদেশের গ্রন্থাগারগুলো এখনো প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নের বাইরে রয়ে গেছে। প্রায় অর্ধেক ব্যবহাকারীর মতে, গ্রন্থাগার সেবার মান কাক্সিক্ষত মানের নয়। অধিকাংশ গ্রন্থাগারে কম্পিউটার থাকলেও তা পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত নয়। ইন্টারনেট সুবিধা নেই বললেই চলে। সরকারি গণগ্রন্থাগারগুলোর মাত্র ৪ শতাংশে পাঠকদের জন্য ইন্টারনেট সেবা উন্মুক্ত। এছাড়া ফটোকপি করার সুবিধা নেই ৭৮ শতাংশ গ্রন্থাগারে। ৩৪টি সরকারি গণগ্রন্থাগার, ২০টি ব্যক্তিমালিকানাধীন গ্রন্থাগার, ৮১ এনজিও পরিচালিত, একটি কমিউনিটি লাইব্রেরি ও ৩১৫টি ই-সেন্টারের ওপর জরিপটি পরিচালনা করে তারা। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় ২ হাজার ৪৯ জন গ্রন্থাগার ও ই-সেন্টার ব্যবহারকারী এবং ৩৫টি জেলার ৪ হাজার ৫৮৫ জন পাঠকের। বর্তমানে দেশে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত গণগ্রন্থাগার আছে ৬৮টি। এর বাইরে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত গ্রন্থাগার রয়েছে ১ হাজার ৬০৩টি ও এনজিও পরিচালিত ৩ হাজার ৫৯৬টি।

মন্তব্য : মেধাবী ও মানবীয় সমাজ, সুনাগরিক গঠন সর্বোপরী সুশীল জাতিগঠনে খুবই হতাশাজনক খবর এটি। উন্নয়নের জোয়াড়ের পাশাপাশি জাতির জ্ঞান বিকাশে উন্নয়নে এত অবহেলা কাম্য নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এ কথাটি সত্যি হলেও দেশে আদর্শিক শিক্ষার পরিশীলন, মূল্যবোধের চর্চা, চেতনার স্ফুরণ ঘটাতে গ্রন্থাগার বা পাঠাগারের প্রতি এই অমনোযোগ সুষম উন্নয়ন ধারাকে টেকসই হতে বাধার সৃষ্টি করবে। বর্তমান সরকার সামাজিক উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে নানান মেয়াদি প্রকল্প চালু করছেন। অথচ জ্ঞাননির্ভর মেধাবী প্রজন্মের জন্য, সমাজ তথা রাষ্ট্রের মানবীয় বিকাশে দেশের গ্রন্থাগারগুলোর জন্য বিশেষ বরাদ্দ কেন নেই। কী কারণে এই দুরবস্থার শিকার হলো গ্রন্থাগারগুলোÑ সরকারের কাছে জাতির একটি কঠিন প্রশ্ন। আমরা জানি, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইপ্রেমী মানুষ। তিনি একটি চেতনাশীল জাতিগঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তিনি নিশ্চয়ই দেশের গ্রন্থাগারগুলোকে আধুনিকীকরণে যথেষ্ট বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার ও উন্নয়নের নির্দেশনা দিবেন। বলা প্রয়োজন, সৃজন ও মননশীল জাতি গঠনে গ্রন্থাগার উন্নয়ন এবং বৃদ্ধিকরণের বিকল্প নেই। দেশের প্রত্যেকটি উপজেলা পর্যায়ে সরকারি গ্রন্থাগার স্থাপন করা আবশ্যক। চলতি গ্রন্থাগারগুলোতে জনবল বাড়ানো দরকার। প্রযুক্তির ব্যবহার, সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য সোলার ব্যবস্থা, নিরাপদ সুপেয় পানি, কফি কর্ণার, স্বাস্থ্যসম্মত বাথরুম সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সকল সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পাস গ্রন্থাগার চালু করা এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই নীতি বাধ্যতামূলক করা দরকার। সরকার গ্রন্থাগারগুলোতে বছরে ২০০ কোটি টাকার বই দিলে দেশের প্রকাশনা শিল্পও ঘুরে দাঁড়াবে। দেশে অনেক লেখক, গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট পেশাদার তৈরি হবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম স্কুল থেকে বইপ্রেমী হয়ে উঠলে তবেই না আমরা মননশীল জাতি উপহার পাব।

শান্তি মিশনে নারী বৈমানিক : বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দুই নারী বৈমানিক এমআই-১৭ হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করেন। তারা ৭ ডিসেম্বর কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দিয়েছেন। আগামী এক বছর তারা কঙ্গোয় বৈমানিকের দায়িত্ব পালন করবেন। নারী বৈমানিক হিসেবে শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক স্থাপিত হলো। জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ২০০০ সালে প্রথম সামরিক বাহিনীতে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় বিমানবাহিনীর বিভিন্ন শাখার নারী কর্মকর্তারা বিমানবাহিনী ছাড়াও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। সামরিক বৈমানিকের মতো চ্যালেঞ্জিং ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নারী বৈমানিকদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাইয়ের পর বিমানবাহিনীতে কর্মরত দুজন নারী কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফি মনোনীত হন উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের ১৮ নং স্কোয়াড্রনে বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে বেসিক কনভার্সন কোর্সের জন্য মনোনীত হওয়া দুই নারী কর্মকর্তা ২০১৪ সালের গত ৩ আগস্ট গ্রাউন্ড প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

মন্তব্য : অনেক খারাপ খবরের মাঝেও অনেক ভালো খবর আমাদের মনে আশাবাদ জাগায়। একটি দেশ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এমন আশাবাদের খবর খুবই গুরুতপূর্ণ এবং জাতির জন্য প্রেরণাদায়ক। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। সকল পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ এবং পরিছন্নতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। এটি খুবই আশার দিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নে দূরদৃষ্টিশীল পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন খবর ফলাও প্রচার হওয়া উচিত। কেননা এর মাধ্যমে নারী তারুণ্যে উদ্দীপনা ছড়াবে। মনে করি এই খবরগুলো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের যোগদান বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় সূচিত হলো। শুভকামনা তাদের জন্য, সাথে রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন।

কৈশোরে বিষণœতার হানা : রাজধানী ঢাকার মাধ্যমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শতকরা ২৫ ভাগের মধ্যে বিষণœতার লক্ষণ পেয়েছেন একদল গবেষক। তারা বলছেন, এই হার সারা বাংলাদেশে বয়ঃসন্ধিতে থাকা শিক্ষার্থীদের বিষণœতার হারের চেয়ে বেশি এবং ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে বিষণœতা বেশি। গবেষণা বলছে, কিশোর বয়সের এই বিষণœতা তাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনাচরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে প্রতিবন্ধিতাসহ রুগ্ন স্বাস্থ্য ও সামাজিক নানা সমস্যাসহ আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি) তিন গবেষকের গবেষণার ফল সম্প্রতি ‘এথনিসিটি অ্যান্ড হেলথ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কিশোর-কিশোরীদের বিষণœতার এই চিত্র ফুটে ওঠে। জানা গেছে, ঢাকার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের আটটি বিদ্যালয়ের ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই গবেষণা চালানো হয়। বিষণœতা পরিমাপে বহুল ব্যবহৃত সিইএসডি-১০ স্কেলের ১০টি প্রশ্ন দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের; আর এতে অংশ নেওয়া ৮৯৮ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৭৫৫ জন সিইএসডি-১০ সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে তাদের পারিবারিক পর্যায়ের তথ্যও সংগ্রহ করেন গবেষকরা। পরে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জরিপে অংশ নেওয়া মাধ্যমিক পর্যায়ের এই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশের মধ্যে বিষণœতার লক্ষণ রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষণœতার প্রবণতা বাড়তে থাকে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে। ১৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মাত্র ১৭ শতাংশের মধ্যে বিষণœতার লক্ষণ দেখা গেলেও ১৬ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৩৭ শতাংশ। জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক ৪৯ শতাংশ ছাত্র এবং প্রায় চার ভাগের এক ভাগের (২৪ শতাংশ) দৈহিক ওজন বেশি বা স্থূলতায় আক্রান্ত। স্কুলে অনিরাপদ বোধ করা এবং যাপিত জীবন সম্পর্কে অসন্তুষ্টি কারণ হিসেবে পেয়েছে গবেষক দল।

মন্তব্য : প্রজন্মের মাঝে বিষণœতার বিষ ছড়িয়ে পড়ার খবরটি মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। প্রথমত এর পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে সচেতনভাবে অনুসন্ধানের পর সামাজিক জাগরণ সৃষ্টিতে সরকারকে মনযোগী হতে হবে। কৈশোরে বিষণœতার হানাÑ কারণগুলোও জানা। সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের অভাব, সামাজিক অনাচারÑ ধর্ষণ, খুন, হত্যা, গুম, নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, ইভটিজিং, শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনার ঘনঘটাই দায়ী। তবে জীবনযাত্রার ব্যয়, মান আর সামর্থ্যরে অসামঞ্জস্যতাও কম দায়ী নয়। তার চেয়েও ভয়ঙ্করভাবে যে জিনিসটা দায়ী সেটা হলোÑ আমরা ছোট ছোট কোমলকলিদের পরীক্ষা আর জিপিএ প্লাসের মতো একটা অপরিণামদর্শী প্রতিযোগিতায় অহেতুক ঠেলে দিচ্ছি। পরীক্ষা, হোমওয়ার্ক, পড়াশোনা, কোচিং, প্রশ্নপত্র ফাঁস আর জিপিএর চাপে পিষ্ট হয়ে দিশেহারা হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। তার সাথে রয়েছে-ফেসবুক, ইন্টারনেট, স্মার্টফোনের অতিব্যবহার। উন্নত প্রযুক্তিকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। তবে আমরা ভুলে যাই, প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দেওয়ার পাশাপাশি জীবন থেকে অনেক কিছুই কেড়েও নেয়। অবিরাম সম্পদ আহরণের পেছনে ছুটে চলা অভিভাকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি তীক্ষè দৃষ্টিপাতের ঘাটতিও এজন্য দায়ী। এসব বিষয়ে সরকারের, সমাজের নীতিনির্ধারকদের, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোপরি অভিভাবকদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। সমাজবিজ্ঞানীদের দ্বারা গবেষণাভিত্তিক বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে কালবিলম্ব না করে। প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরীদের জন্য মানসিক ও শারীরিক বিকাশ, কসরত, বই পঠন, গৃহকর্মে সহায়তা, বাগান করা, নিজের কাজ নিজে করা, সাইক্লিং, ক্রীড়া, স্কাউটিং প্রভৃতির মাধ্যমে সামাজিকীকরণের লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ আবশ্যক। বিষয়টি দ্রুত সরকারের নজরে আসুক- এটাই প্রত্যাশিত।

লেখক : বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist