প্রকৌশলী রিপন কুমার দাস

  ০৪ জুলাই, ২০২০

মতামত

আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস ও কিছু কথা

প্রতি বছরের মতো ৪ জুলাই ২০২০ অর্থাৎ জুলাই মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস, দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলনের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৮৭৫ সালে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মহাজনী প্রথার চক্রবৃদ্ধি হারের সুদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ১৯০৪ সালে কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি আইন প্রণীত হয় ও ১৯১২ সালে এ আইনটি জারি করা হয়। ১৯১৯ সালে সমবায়কে ভারতবর্ষের প্রাদেশিক বিষয় হিসেবে রূপান্তর করা হয়। ১৯৪০ সালে বেঙ্গল কো-অপারেটিভ সোসাইটি আইন প্রণয়ন হয় এবং ১৯৪২ সালে সমবায় নিয়মাবলি জারি করা হয়। ১৯৫৬ সালে কুমিল্লার কোটবাড়ীতে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে বার্ড নামে পরিচিত। ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক সমবায় মৈত্রী সংস্থার সদস্যভুক্ত হয়। ১৯৬২ সালে জাতীয় সমবায় নীতিমালা গৃহীত ও প্রচারিত হয়। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বাংলায় সমবায় আইন জারি হয়। ২০১২ সালে জাতীয় সমবায়নীতি প্রণয়ন করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে সমবায় অধিদফতরের নিবন্ধনকৃত কেন্দ্রীয়, জাতীয়, প্রাথমিক সমবায় সমিতির সংখ্যা ১,৭৪,৬০৪টি। এসব সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১,০৯,০৪,১৩৬ জন। প্রাথমিক সমবায় সমিতি হচ্ছে কমপক্ষে ২০ জন সদস্য নিয়ে বৈধ উপায়ে সদস্যদের আর্থসামাজিক উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি হচ্ছে কমপক্ষে ১০টি প্রাথমিক সমবায় সমিতির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনাকারী সমিতিকে বোঝায়। আর জাতীয় সমবায় সমিতি হচ্ছে কমপক্ষে ১০টি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির কার্যক্রম সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনাকারী সমিতিকে বুঝিয়ে থাকে।

জাতীয় সমবায় সমিতি ২২টি, কেন্দ্রীয় (সাধারণ) সমবায় সমিতি ৪৯৩টি (এরমধ্যে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক ৭৫টি, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় ৭৭টি, কেন্দ্রীয় তাঁতি সমবায় ৪২টি, কেন্দ্রীয় ইক্ষু উৎপাদনকারী সমবায় ১৩টি, কেন্দ্রীয় মহিলা সমবায় ২৯টি ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সমবায় ২৫৭টি)। কেন্দ্রীয় বিআরডিবি সমবায় সমিতি ৬৯৩টি (এরমধ্যে উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় অ্যাসোসিয়েশন ৪৭৯টি, কেন্দ্রীয় বিত্তহীন সমবায় সমিতি লি. ১৩৪টি, কেন্দ্রীয় পজিব ৭০টি ও জেলা পল্লী উন্নয়ন ফেডারেশন লি. ১০টি)।

প্রাথমিক সাধারণ সমবায় সমিতি ৫৮,৪৪৯টি (এরমধ্যে কৃষি ও কৃষক সমবায় ১৭৩০টি, মৎস্যজীবী/মৎস্যচাষি সমবায় ৯৬২৬টি, শ্রমিক ও শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি ২১১০টি, মৃৎশিল্প সমবায় ২০টি, তাঁতি সমবায় ৮৪৪টি, ভূমিহীন সমবায় ৪৩৪টি, বিত্তহীন সমবায় ১৫টি, মহিলা সমরায় ১১৫৭টি, অটোরিকশা, অটোটেম্পো, টেক্সিক্যাব, মোটর, ট্রাক ও টেংক/লরি সমবায় ৭৩৭টি, হকার্স সমবায় ৬৩টি, মোটর মালিক ও শ্রমিক সমবায় ৪৭৩টি, কর্মচারী (পুলিশসহ)/চাকরিজীবী সমবায় ৪৬০টি, দুগ্ধ সমবায় ১৬৮টি, মুক্তিযোদ্ধা সমবায় ৪৮৯টি, যুব সমবায় ১৪৬৪টি, পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় ১৮টি, সার্বিক/আদর্শগ্রাম উন্নয়ন সমবায় ৩৬০৪টি, গৃহনির্মাণ সমবায় ৯৭টি, ফ্ল্যাট/এপার্টমেন্ট মালিক সমবায় ১২৩টি, দোকান মালিক/ব্যবসায়ী/মার্কেট সমবায় ৫৮৫৫টি, ভোগ্যপণ্য সমবায় ৩৯৯টি, সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় ১২,৩৪৬টি, কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৭৩টি, কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সমবায় ৪১টি, বহুমুখী সমবায় ১১,৩৪৮টি, সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন (সিভিডিপি) ১৪৩৭টি ও অন্যান্য প্রাথমিক সমবায় ৩,৩১৮টি)। প্রাথমিক বিআরডিবি সমিতি ৮৮,৭৮১টি (এরমধ্যে কৃষক সমবায় ৫২,৫৮০টি, মহিলা সমবায় ৭,২৯৭টি, বিত্তহীন সমবায় ৭,০৫১টি, মহিলা বিত্তহীন সমবায় ১০,৫২৪টি, বিত্তহীন মহিলা (পজিব) সমবায় ৮,৪৪৩টি, বিত্তহীন পুরুষ (পজিব) সমবায় ১,৮৪৬টি, দমআক সমবায় ৪০৯টি, সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন ৬১২টি ও ইরেসপো সমবায় ১৯টি)। এ ছাড়া বিভিন্ন দফতরের মধ্যে এলজিইডি সমবায় ১২৭৭টি (এরমধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় ১১৪১টি ও সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় ১৩৬টি)। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ব্যবহারকারী/পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় ২৫৫টি, বার্ডের সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় ৮৮২টি, আরডিএর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় ৫২৭টি, মিল্ক ভিটার দুগ্ধ সমবায় ১৯২২টি, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সমবায় ১৪৫৬টি (এরমধ্যে আশ্রয়ণ সমবায় ৫৬৯টি, আশ্রয়ণ (ফেইজ-২) সমবায় ৭২৯টি, আশ্রয়ণ-২ সমবায় ১৫৮টি) ।

সমবায় ব্যাংক ৭৮০২টি (এরমধ্যে প্রাথমিক ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক ৬৯টি, প্রাথমিক ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় ২২১৬টি, প্রাথমিক কৃষি সমবায় ৫৫১৭টি)। কালবভুক্ত প্রাথমিক সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় ৭৯৩টি, কৃষি/মৎস্য/প্রাণিসম্পাদ দফতরের প্রাথমিক সিআইজি সমবায় ১১০৭৭টি, উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে দুগ্ধ প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি ২৬টি, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক সমবায় সমিতি ১৪৯টি।

বর্তমানে অপ্রদর্শিত আয়সমূহ সমবায় সমিতির মাধ্যমে অনেকে বিনিয়োগ করে থাকেন, ফলে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই সমবায় সমিতির কার্যক্রমকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আওতায় এনে ডিজিটালাইজড করা অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে সমিতির নিবন্ধনের সময় বর্তমানে প্রয়োজনীয় উপকরণের সঙ্গে প্রতিটি সমিতির কমপক্ষে একটি ডেক্সটপ/ল্যাপটপ কম্পিউটার, একটি মডেম ও সমবায় অধিদফতরের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে একটি অনলাইন সফটওয়্যার (এক দেশ এক সফটওয়্যার) সংগ্রহ করতে হবে। উক্ত সফটওয়্যারে সমিতির সদস্য রেজিস্ট্রার, শেয়ার রেজিস্ট্রার, ডিপোজিট রেজিস্ট্রার, লোন রেজিস্ট্রার, ক্যাশ বহি, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্তসহ প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম লিপিবদ্ধ থাকবে। সমিতির সব কার্যক্রম সদস্যদের নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্রের এনআইডি নম্বরের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ফলে একজন সদস্য একাধিক সমিতির সদস্য হলেও তাহার সব তথ্য সমবায় অধিদফতর ও বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে । এজন্য সব নিবন্ধিত সমিতিকে প্রতিদিন তাদের তথ্যাদি অনলাইনে আপডেট প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।

সমিতির নগদ তহবিল ও নিরাপত্তা জামানত পরীক্ষা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঋণ (যদি থাকে), আমানতকারী ও পাওনাদারদের পাওনা স্থিতি, খাতকদের কাছে সমিতির পাওনার পরিমাণ পরীক্ষা, সমিতির সম্পদ ও দেনার মূল্যায়ন, আর্থিক লেনদেনসহ সমিতির লেনদেনসমূহ বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত পরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে প্রস্তুতকৃত হিসাববিবরণী পরীক্ষা, আদায়যোগ্য লাভের প্রত্যয়ন, হালনাগাদ সদস্য তালিকা পরীক্ষা, সব ব্যয়ের ভাউচার ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য বিষয়সমূহ অনলাইনে এন্ট্রিপ্রদান করতে হবে। প্রতিটি সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কমপক্ষে একবার সব কার্যক্রম নিরীক্ষা করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ও অফলাইন দুই ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করবেন। অতঃপর জেলা সমবায় কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার প্রেরিত রিপোর্ট ও অনলাইনে থাকা তথ্যাদির সাহায্যে পুনরায় পরীক্ষান্তে বিভাগীয় সমবায় কর্মকর্তার কাছে রিপোর্ট প্রেরণ করবেন। সমিতি নিবন্ধন নবায়ন করার ক্ষেত্রে সব কার্যক্রম অনলাইন সফটওয়্যারে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার ওপর জোর প্রদান করতে হবে।

সমবায় সমিতি থেকে প্রাপ্ত আয় ও ঋণ, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আয়কর নথিতে প্রদর্শন করা যায় না। ফলে অনেক সদস্য বিভিন্ন সময় নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই সমবায় সমিতির প্রাপ্ত লভ্যাশেংর ওপর শতকরা ৫ ভাগ (টিন সার্টিফিকেটধারীদের ক্ষেত্রে ২.৫ ভাগ) ভ্যাট আদায় সাপেক্ষে সব কার্যক্রমকে আয়করের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এ ছাড়া সমবায় সমিতি থেকে উত্তোলিত ঋণ কার্যক্রমকে আয়করের আওতায় আনিয়া কর রেয়াত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

বর্তমানে সমবায় সমিতিসমূহে ঋণের ক্ষেত্রে বার্ষিক ৩৬ টাকা, ৩০ টাকা, ২৪ টাকা, ২১ টাকা আবার কোথাও ১৮ টাকা হারে সুদ আদায় করে থাকে। অপর দিকে সরকার সব ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জিরো ফিগার সুদ ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। তাই সব নিবন্ধিত সমবায় সমিতিতে ঋণের সুদ জিরো ফিগার বাস্তবায়ন সম্ভব না হলেও বার্ষিক সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এর ফলে সমিতির সদস্যগণ সমিতি থেকে ঋণগ্রহণ করে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন।

সমবায় সমিতি আইন ২০০১-এর ৩৯ ধারায় বর্ণিত রয়েছে কোনো সদস্য মারা গেলে মৃত্যুর তারিখে সমবায় সমিতির কাছে কোনো দায়-দেনা অপরিশোধিত থাকলে মৃত্যুর তারিখের পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে উক্ত দেনা উক্ত সদস্যের রেখে যাওয়া সম্পত্তি হতে আদায়যোগ্য হবে। যা অত্যন্ত অমানবিক বিষয়, কারণ দেশের বেশির ভাগ সমবায়ী তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত হয়। তাই সমবায় সমিতির সব ঋণ কার্যক্রমকে বিমার আওতায় আনা জরুরি। বর্তমানে ক্রেডিট ইউনিয়নভুক্ত অনেক সমিতির ঋণ কার্যক্রম বিমার আওতাভুক্ত। যদিও উক্ত বিমা কার্যক্রমে বার্ষিক শতকরা ১.২০ টাকা অফেরতযোগ্য বিমা চার্জ কাটা হয়; যা অত্যন্ত অমানবিক, যদি বিমার চার্জের টাকা ফেততযোগ্য হতো, তবে বিমা চার্জ ফি বার্ষিক ১.২০ টাকা যুক্তিযুক্ত ছিল। তাই বিমা চার্জ হিসেবে অফেরতযোগ্য বার্ষিক শতকরা সর্বোচ্চ ০.৪৮ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়।

বিমা কার্যক্রমে মৃত্যুঝুঁকির পাশাপাশি গুরুতর অসুস্থতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত হওয়া জরুরি অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা যদি ঋণগ্রহণ করার পর হার্ট, লিভার, কিডনি, ক্যানসার, বক্ষব্যাধিসহ গুরুতর অসুস্থ হন তাহলে বিমার সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনাজনিত কারণে অঙ্গহানি হলেও ঋণগ্রহীতা বিমার সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন। বৈশ্বিক ও জাতীয় মহামারিতে আক্রান্ত হলে অর্থাৎ করোনাভাইরাস অথবা ডেঙ্গুর মতো রোগে আক্রান্ত হলেও বিমার সুবিধাপ্রাপ্ত হতে পারিবেনÑ এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে সমবায় কার্যক্রম ব্যাপক জনপ্রিয় হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

লেখক : ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর

ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close