রেজাউল করিম খান

  ০১ জুন, ২০২০

বিশ্লেষণ

পুকুর খনন ও সংস্কারে একনীতি চাই

ফসলি জমিতে পুকুর খননে আইনে কিছু বিধিনিষেধ আরোপিত আছে। তার পরও কোনো কোনো স্থানে ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ পুকুর খনন হয়েছে এবং এখনও অব্যাহত আছে। আবার বৈধ পুকুর সংস্কার বা পুনঃখননে বাধাও দেওয়া হচ্ছে। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, ফসলি জমিতে পুকুর খননে আইনি বাধা থাকলেও পুরনো পুকুর সংস্কারে নিষেধাজ্ঞা নেই। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হওয়ায় এই নিবন্ধের অবতারণা। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তা নিরসনে কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। তাদের ধারণা হয়েছে, সমস্ত জমির মালিক সরকার এবং তাদের নির্দেশেই চাষাবাদ করতে হবে। জমির ওপর কৃষকের কোনো অধিকারই নেই। কৃষিজমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন-২০১৬-এর ৪ নম্বর ধারায় বলা আছে : (১) বাংলাদেশের যে সকল কৃষিজমি রহিয়াছে, তাহা এই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা করিতে হবে এবং কোনোভাবেই তাহার ব্যবহারভিত্তিক শ্রেণি পরিবর্তন করা যাইবে না। তবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসাপেক্ষে কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে এবং উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি মোতাবেক অত্র বিধানাবলি পরিবর্তন করা যাইবে। (২) কৃষিজমি ব্যতীত অন্যান্য জমি একইভাবে সুরক্ষা করিতে হইবে।

বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০-এ বলা আছে, ‘কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ:- ৪ নম্বর ধারা: বিপণনের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থান, চা বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ হইতে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না-(ক) পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১নং আইন) এর অধীন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত হইলে; (খ) সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হইলে, অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন ১ (এক) কিলোমিটার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সীমানার মধ্যে হইলে : তবে শর্ত থাকে যে, সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইলে, সরকারি গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক, এই ধারায় উল্লিখিত কোন বিষয়ে উক্ত শর্ত শিথিল করিতে পারিবে;

অপরাধ, বিচার ও দন্ড :- ১৫ : (১) এই আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধানসহ অন্য কোন বিধান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করিলে বা এই আইন বা অন্য কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্সিকিউটিভ বডি) বা তাহাদের সহায়তাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা হইতে ১০ (দশ) লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। এই অভিযান অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশে ধান ছাড়াও গম, পাট, ইক্ষু, সবজি, আম, লিচু, কাঁঠালের যেমন প্রয়োজন আছে, তেমন মাছেরও। এখনও বাংলাদেশের সব মানুষ প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ খেতে পায় না। সকলেই স্বীকার করবেন, নদনদী, খালবিল, পুকুর-ডোবা, হাওর-বাঁওড়সহ প্রাকৃতিক জলাধারগুলো বাংলাদেশের প্রাণ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে শহরে-গ্রামে এমন অনেক জলাভূমি হারিয়ে যাচ্ছে আবার এগুলো অনেকে নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো ভরাট করছেন। জলাভূমিগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, উদ্ভিদ ও প্রাণিকূলের টিকে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ভরাট করা বেআইনি। আবার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০ অনুযায়ী, জাতীয় অপরিহার্য স্বার্থ ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধাসরকারি, এমনকি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর বা জলাধার ভরাট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন অমান্য করে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছেন। জলাভূমি আমাদের পানি পরিশোধন ও চাহিদা পূরণ, খাদ্য উৎপাদন, মৎস্য সম্পদ, জীববৈচিত্র রক্ষা, বন্যানিয়ন্ত্রণ, ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠে পানি সংরক্ষণ, নদীভাঙন রোধ, ভূমিক্ষয়রোধ, দূষণরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনরোধসহ বহুমাত্রিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিন্তু সকল পরিকল্পনায় জলাভূমি রক্ষা করার কথা বলা হলেও কার্যত এর প্রতিফলন হচ্ছে না।

দেশে মাছের সবচেয়ে বড় উৎস পুকুর ও প্রাকৃতিক জলাভূমি। মৎস্য অধিদফতরের হিসাবে, বাংলাদেশে ২০১৭-১৮ সালে মোট মাছের উৎপাদন হয় ৪২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৪১ টন। এর মধ্যে পুকুরে উৎপাদিত হয় ২৪ লাখ ৫ হাজার ৪১৫ টন। অথচ ১৯৮৩-৮৪ সালে পুকুরে মাছের উৎপাদন ছিল মাত্র ১ লাখ ৭৮ হাজার টন। মূলত দেশের ২৪টি জেলায় পুকুরে মাছের চাষ দ্রুত বেড়েছে। এর মধ্যে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও নেত্রকোনায় পুকুরের পরিমাণ বেশি। এসব জেলায় পুকুরে মাছ চাষ বছরে ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘেরে মাছ চাষ গত দুই যুগে ২৪ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ মৎস্য ইনস্টিটিউট থেকে ইতিমধ্যে মৎস্য চাষ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ৬০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ১৮টি মাছের পোনা উৎপাদন করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশের মাছ চাষ নিয়ে চার বছরে সাতটি গবেষণা করেছে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উৎপাদিত মাছের ৫৬ শতাংশ এখন আসছে পুকুর থেকে। পুকুরে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের ফলে দেশে মাছের মোট উৎপাদন গত ৩৪ বছরে ছয় গুণ বেড়েছে। আর শুধু পুকুরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ১২ গুণের বেশি। দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ এখন মাছ চাষ এবং এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দেশের দারিদ্র্যবিমোচনের ক্ষেত্রে এই খাতের অবদান শীর্ষ তিনের মধ্যে রয়েছে। আর কর্মক্ষম মানুষের ২৩ শতাংশ এখন কোনো না কোনোভাবে মৎস্য খাতের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ ১৯৯০ সালে ছিল বছরে সাড়ে ৭ কেজি, এখন তা ৩০ কেজি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক শহীদুর রশীদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, ইথিওপিয়া, গুয়াতেমালা ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা ওই গবেষণা করেন। শহীদুর রশীদ বলেন, বড় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়াও যে দারিদ্র্যবিমোচন ও গ্রামীণ উন্নয়ন হতে পারে, বাংলাদেশের মৎস্য খাত তার প্রমাণ। গ্রামে গ্রামে ক্ষুদ্র চাষিদের সৃজনশীল উদ্যোগ, সরকারের নীতি সহায়তা ও বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন, সব মিলিয়ে এই সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, মাছের উৎপাদন বাড়ায় দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ধানের চেয়েও মাছ চাষ বেশি লাভজনক। এক একর জমিতে ধান হয় দুই থেকে তিন টন। আর এক একর আয়তনের পুকুরে মাছ হয় ৪০ টন। খাদ্যনীতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইফপ্রি বলছে, পুকুরে মাছ চাষে অনন্য দৃষ্টান্ত সারা বিশ্বে স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

বিদ্যমান আইনগুলো দেখে আমরা জানতে পেরেছি, পতিত বা এক ফসলি জমিতে শ্রেণি পরিবর্তন সাপেক্ষে পুকুর খননের বিধান রয়েছে। এর জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় নাটোরে অনেক পুকুর খনন করা হয়েছে। দৃষ্টান্ত : জেলা প্রশাসক, নাটোর-এর কার্যালয়ের স্মারক সংখ্যা : ...৮১৭, তারিখ: ০৮ মে ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ। বিষয়: পুকুর খননের অনুমতি প্রসঙ্গে। রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর স্বাক্ষরিত ঐ চিঠিতে জনৈক মমতাজ আলীকে তার ধানিজমিতে পুকুর খননের অনুমতি দেওয়া হয়। পরের বছর পতিত, একফসলি ও পুরনো পুকুর খননের অনুমতি চেয়ে নাটোর জেলায় শত শত মানুষ আবেদন করেছে। কিন্তু একজনকেও অনুমতি তো দূরের কথা, পত্রের জবাবও দেওয়া হয় নি! এমতাবস্থায় কেউ পুকুর খনন করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নানা আইন ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা জরিমানা করছেন। টাউট, দালাল, বাটপার ও একশ্রেণির সাংবাদিক নামধারীও এর সুযোগ নিচ্ছে। অপরদিকে প্রভাবশালীরা ‘ম্যানেজ’ করে পুকুর খনন করে চলেছেন। জানা মতে, উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘মোজাম্মেল, শামসুজ্জামান ও হাবিবুর রহমানসহ ২৭জন কৃষক স্বপ্রণোদিত হয়ে গাজীপুর মৌজায় কৃষি আবাদী জমি নষ্ট করে এবং উহার আকার ও শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে গত ১১/০২/২০১৮ তারিখে ২০৭৮/২০১৮ একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যা গত ১২/০২/২০১৮ তারিখে শুনানীনান্তে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ গাজীপুর মৌজায় অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, নাটোর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), নাটোর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাটোর, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নাটোর ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নাটোর (সদর) এর প্রতি রুলনিশি জারি করেন।’ পরে আরও কয়েকটি রিট দাখিল করা হয়-৪৩৫৩/২০১৭, ১৮০১/২০১৯ এবং ২৪৭৬/২০১৯ নং রীট পিটিশন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, উচ্চ আদালত ‘অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের’ কথা বলেছেন। যদিও পুকুর কখনো অবৈধ হতে পারে না, খনন অবৈধ হতে পারে। যে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে, তা যে অবৈধ, সেই বিষয়টি পুকুরের মালিককে পূর্বেই চিঠি দিয়ে জানানো হচ্ছে না। এছাড়া রিট পিটিশন এখনও বিচারাধীন। বিচারাধীন মামলার নির্দেশনা না মানার অনেক নজির আমাদের দেশে রয়েছে। যেমন- জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বাছাইয়ের পর নাটোর সদর উপজেলার ৫৬ মুক্তিযোদ্ধার নাম সরকারকে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের কপি নাটোরে জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু রায়ের অদ্যাবধি মান্য করা হয় নি। অবার সকল প্রশাসনিক নির্দেশও মানা হয় না। গত ১২ জানুয়ারি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অধীন সব কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি।

লেখক : সাংবাদিক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close